Type Here to Get Search Results !

বিলকিস বানোর আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি,আরশিকথাঃ


২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় গণধর্ষণ করা হয়েছিল বিলকিস বানোকে। সেই মামলায় অভিযুক্ত ১১ জনকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ গুজরাট সরকারকে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন বিলকিস। আজ সেই রিভিও পিটিশন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট এই রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দেওয়ার পর আবারও নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন শাশ্বতী মালিওয়াল। টুইট করে তিনি লিখেছেন, ‘বিলকিস বানোর আবেদন সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। তাঁকে ২১ বছর বয়সে গণধর্ষণ করে তাঁর ৩ বছরের মেয়ে ও পরিবারের ৬ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। গুজরাট সরকার সেই ধর্ষকদের ছেড়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও যদি সুবিচার পাওয়া না যায়, তাহলে তাঁরা কোথায় যাবেন?’ বিলকিসের গণধর্ষণে অভিযুক্ত ১১ জনকে চলতি বছরের ১৫ অগস্ট ‘ভাল ব্যবহারের’ কারণে ছেড়ে দেওয়া হয়। মে মাসে বিচারপতি অজয় রাস্তোগির কাছে আবেদন করে এক দোষী। সেই আবেদনে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ১৯৯২ সালের জেল আইনের আওতায় গুজরাট সরকার দোষীদের মুক্তির কথা বিবেচনা করতে পারে। সেই মতো ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মুক্তি দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন দিয়েছিলেন বিলকিস বানো। এর জবাবে গুজরাট সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানায়, ওই ১১ জন আসামিকে ১৪ বছর কারাবাস এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মতির পরেই ছাড়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই মামলার শুনানি মহারাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কারণ আদালত মনে করেছিল যে গুজরাটে স্বচ্ছ শুনানি হওয়া সম্ভব নয়। বিলকিসের পিটিশনে বলা হয়েছিল, মামলার শুনানি যেহেতু মহারাষ্ট্রে হয়েছিল, তাই সেই রাজ্যের জেল আইন অনুযায়ী দোষীদের সাজা দেওয়া হোক। তাদের কোনও ভাবেই সময়ের আগে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি দোষীদের সময়ের আগে মুক্তি দেওয়া নিয়ে গুজরাট সরকারের কাছে তথ্য চেয়েছিলেন বিলকিস বানো। কিন্তু বার বার বলা সত্বেও সরকারের তরফে কোনও উত্তর আসেনি।


আরশিকথা দেশ-বিদেশ


তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট

১৭ই ডিসেম্বর ২০২২
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.