সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও নীতি বাস্তবায়নে সঠিক, নির্ভরযোগ্য ও সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় পরিসংখ্যান সমীক্ষা ও পরিসংখ্যানকে শক্তিশালী করার মত সহায়ক প্রকল্পগুলি রাজ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বর্তমানে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। বুধবার সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আহুত সাংবাদিক সম্মেলনে পরিকল্পনা (পরিসংখ্যান) দপ্তরের সচিব মহম্মদ জুবের আলি হাসমি একথা জানান। তিনি জানান, পরিকল্পনা তৈরীর ক্ষেত্রে রাজ্যে পরিসংখ্যান দপ্তরকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডিজিটাল মুডে তথ্য সংগ্রহ করা অন্যতম, যা আগে ম্যানুয়ালি করা হত। এটি দপ্তরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে তিনি উল্লেখ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে পরিকল্পনা (পরিসংখ্যান) দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা অরুপ কুমার চন্দ পরিকল্পনা (পরিসংখ্যান) দপ্তরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও কর্মসূচি সমূহের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভের ৭৯ তম রাউন্ড শুরু হয়েছে, যা ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত চলবে। ত্রিপুরার ৮টি জেলার ১৪৪টি গ্রামীণ এবং ৭৬টি নগর এলাকাকে এই সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। তিনি তথ্য দিয়ে জানান, ২০২১-২২ সালে রাজ্যে মাথাপিছু গড় আয় ছিল ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৮০৩ টাকা, যেখানে জাতীয় গড় হচ্ছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৭ টাকা। তিনি জানান, ভারত সরকারের নীতি আয়োগের প্রকাশিত সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে বিভিন্ন পর্যায়ের অগ্রগতির সূচকে ত্রিপুরা দেশের অন্যান্য সেরা পারফর্মিং রাজ্যগুলির মধ্যে উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে ২০২০-২১ সালের নীতি আয়োগের প্রকাশিত সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে অগ্রগতির সূচকে ত্রিপুরার কম্পোজিট স্কোর হচ্ছে ৬৫, যা ২০১৮ সালে ছিল ৫৫। সাংবাদিক সম্মেলনে পরিকল্পনা (পরিসংখ্যান) দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা জানান, উত্তর পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলির ১২০টি জেলাকে নিয়ে নীতি আয়োগের প্রকাশিত উত্তর পূর্বাঞ্চল জেলা সুস্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে অগ্রগতির সূচক এবং ড্যাশবোর্ড-এর ক্ষেত্রে সেরা ১৫টি জেলার মধ্যে ত্রিপুরার ৮টি জেলাই স্থান করে নিয়েছে। তিনি আরও জানান, নির্ভরযোগ্য, গুণমান সম্পন্ন স্ট্যাটিসটিক্যাল তথ্য সংগ্রহ ও প্রদানের জন্য ভারত সরকারের সাপোর্ট ফর স্ট্যাটিস্টিকেল স্ট্রেংদেনিং (এস এস এস) প্রকল্প রাজ্যে রূপায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পে ডাইনামিক ওয়েব পোর্টাল তৈরী করার পাশাপাশি নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহের জন্য সমীক্ষার কাজে কলকাতাস্থিত ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকেল ইনস্টিটিউট এর সাথে মউ স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কর্মশালা আয়োজনের পাশাপাশি দপ্তরের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ত্রিপুরায় শিল্প বিকাশের অগ্রগতি নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশান-এর সূচক প্রকাশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, সারা দেশে ত্রিপুরাই প্রথম সম্পূর্ণ ডিজিটেল মুডে সপ্তম ইকোনোমিক স্যাম্পাস ২০১১ সালের জুলাই মাসে সূচনা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা (পরিসংখ্যান) দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা চিরঞ্জীব ঘোষ ।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১লা ডিসেম্বর ২০২২