শিক্ষা দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার টেট উত্তীর্ণ ৮৩১ জন শিক্ষকের পোস্টিং দিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ৭৩১ জন স্নাতক শিক্ষক, ১০ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষক এবং ১০ জন অস্নাতক শিক্ষক। আগামী ২ বা ৩ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষকদের জয়েন করার প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন করা হবে। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ তার অফিসকক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই সংবাদ জানিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার ২০১৮ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এখন পর্যন্ত শিক্ষা দপ্তরের অধীনে মোট ৬ হাজার ৭৮১ জনকে শিক্ষকের পদে চাকরি দিয়েছে। এরমধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে চাকরি প্রদান করা হয়েছে ৩ হাজার ১৭০ জনকে। এছাড়াও বর্তমান সরকারের সময়ে এখন পর্যন্ত উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধীনে সাধারণ ডিগ্রি কলেজে ১০ জন অধ্যক্ষ, ৭৪ জন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর, পলিটেকনিক কলেজে ৫৭ জন লেকচারার এবং আইন কলেজে ১০ জন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর নিয়োগ করা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, শিক্ষক পদে চাকরি প্রদানের পাশাপাশি জিটি, এসটিজিটি সহ ২৩০ জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়াও ককবরকে ২২ জন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর, ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (টিআইটি) ১ জন অধ্যক্ষ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলির জন্য ৪ জন অধ্যক্ষ, ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (টিআইআই) ৬ জন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর এবং বিএড কলেজে ৬ জন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষক পদে লোক নিয়োগ করার জন্য আজ টেট-২ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তাতে ৭৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট ২১ হাজার ৮১২ জন প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। আগামীকাল অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর টেট-১ পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাতে ৫৯টি কেন্দ্রে ১৭ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমান রাজ্য সরকারের লক্ষ্য হলো এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলা। তাই সরকার প্রথম থেকেই গুণগত শিক্ষা প্রদানের উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নের ফলে পারফরমেন্স গ্রেডিং ইনডেক্সে (পিজিআই) ত্রিপুরা দেশের মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে রাজ্য যেখানে পারফরমেন্স গ্রেডিং ইনডেক্সে গ্রেড ৫-এ ছিলো সেখানে বর্তমানে রাজ্য গ্রেড ওয়ান-এ রয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৯ ডিসেম্বর ২০২২