দেশের সংবিধান প্রণেতা ভারতরত্ন বাবা সাহেব ড. বি আর আম্বেদকর ছিলেন একজন রাষ্ট্রনায়ক, দেশপ্রেমিক ও দার্শনিক। তাঁর স্বপ্ন ছিল জাতপাতহীন এক শক্তিশালী ভারত গঠন। তিনি সারাজীবন সমাজের পিছিয়ে পড়াদের জন্য লড়াই করে গেছেন। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও চান সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সরকা প্রয়াস। তবেই ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত হিসেবে আত্ম প্রকাশ করবে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী মঙ্গলবার সকালে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে ড. আম্বেদকরের ৬৭তম তিরোধান দিবসে তাঁর মর্মর মূর্তিতে মালদ্যান করে একথা বলেন।
তাছাড়াও ড. আম্বেদকরের মর্মর মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, বিধায়ক রেবতী মোহন দাস, বিধায়ক দিলীপ কুমার দাস, বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, ত্রিপুরা রিয়াল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান তাপস কুমার দাস, প্রাক্তন অধ্যক্ষ জিতেন সরকার, তপশিলী জাতি কল্যাণ দপ্তরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্রা, অধিকর্তা সন্তোষ দাস, পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। এদেশে বহু রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ ও মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন। তারমধ্যে ড. আম্বেদকর অন্যতম। যিনি শুধু রাজনীতিবিদ নন, একাধারে পন্ডিত, রাষ্ট্রনায়ক ও পথ প্রদর্শক। যিনি সারাজীবন গরিব, অস্পৃশ্য, পিছিয়ে পড়া ও দলিত মানুষের জন্য লড়াই করে গেছেন। তিনি বলেন, কোন অবস্থাতেই জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণের ভিত্তিতে দেশ যাতে দুর্বল না হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নতুন ভারত গড়তে বর্তমান প্রজন্মকে ড. আম্বেদকের আদর্শ, মত ও পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানান।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
৬ই ডিসেম্বর ২০২২