সোমবার গণতান্ত্রিক নারী সমিতির সমাবেশে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিভিন্ন অংশের বিশ্লেষণ করে নিন্দায় সরব হন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। সোমবার রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে গণতান্ত্রিক নারী সমিতির এক সমাবেশ হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার, বৃন্দা কারাত, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রমা দাসসহ অন্যান্যরা। মানিকবাবু তার বক্তব্যে মূলত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে মহিলা ও উপজাতিদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জনসভায় শতকরা এক ভাগও উপজাতি ছিল না। আর মা-বোনেদের উপস্থিতিও এক থেকে দুই শতাংশের বেশি নয়। প্রধানমন্ত্রী বিজেপির দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারার ব্যাপারে একটি কথাও বলেননি। সপ্তম বেতন কমিশন দেওয়া হয়নি। চাকুরী ১০,৩২৩ শিক্ষকদের ব্যাপারে কিছু বলেননি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের অভাব এসব নিয়ে কিছু বলেননি।
মানিকবাবু বলেন, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে রেগার কাজ হতো। এর মাধ্যমে মানুষের হাতে টাকা পৌঁছতো। এখন সেই সুবিধা নেই। ডেন্টাল কলেজ প্রসঙ্গে বলেন, বামফ্রন্ট সরকার জিবি হাসপাতালের সঙ্গে বিরাট জায়গা ডেন্টাল কাউন্সিলকে দেখিয়েছিল। বামফ্রন্ট সরকারের ইচ্ছা ছিল আইজিএম হাসপাতালের আরও পরিকাঠামগত উন্নয়ন। এটা ভোটের ডেন্টাল কলেজ। ভোট চলে গেলে সব ভুলে যাবে বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। হাসপাতালে ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই, প্যারা মেডিকেল এসব তথ্য প্রধানমন্ত্রী রাখেন কিনা সেই প্রসঙ্গ তোলেন মানিক বাবু।
এদিকে পলিটব্যুরোর আরেক সদস্য বৃন্দা কারাত দেশের সার্বিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি ও আরএসএস এর সমালোচনায় সরব হন। তিনি বলেন, বিজেপি এবং আরএসএস স্বৈরাচারী সরকার চালিয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় নারীদের বিকাশের শ্লোগান দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এটা খুবই জরুরী।
সমাবেশের রমা দাস ঝর্ণাদাস বৈদ্যসহ অন্যান্য নারী নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে প্যারাডাইস চৌমুহনী থেকে নারী সমিতির একটি বিরাট মিছিল রবীন্দ্র ভবনের সামনে যায়।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৯ ডিসেম্বর ২০২২