শিমলা পল্লীতে জন্মিলে বীর
বীরেশ্বর নামটি লইয়া,
পিতা বিশ্বনাথ, মাতা ভুবনেশ্বরী
নিলেন কোলে বীলে নামটি দিয়া।
অশান্ত বীলেকে শান্ত করিতে
চিরশাসন স্নেহের ডোরে,
শিব-শিব বলিয়া ঢালিলে জল
দুরন্তপনা যাইত দূরে।
জাতি ভেদাভেদে ছিলে যে বীলে
শাশ্বত স্বভাব বিরোধী,
দীনের তরে অকাতরে দান
সততই উদার চিতি।
"জীবের মাঝে বিরাজিত শিব
কে বলে বহু দূর?"
অজ্ঞানীর অজ্ঞানতা করিলে তুমি দূর।
হিমালয় হইতে কুমারীকা
চলিয়াছ পদব্রজে,
নবজাগরণের বার্তা বাহক
হইলে তরুণ সমাজে।
হোমানলদৃশ গৈরিকধারী প্রতিভাদৃপ্ত দৃষ্টি,
উন্নত শিরে শোভামান তুমি
দৃঢ়চেতা বজ্রমুষ্ঠি।
প্রশান্ত ললাটে গম্ভীর চোখে
সিদ্ধির দিব্যদৃষ্টি,
যুগযুগান্তরে ধ্যানের প্রতীকী
পরিব্রাজকের যষ্টি।
পূন্যভূমির শেষপ্রান্তে সাগর বিধৌত পাষাণে,
ধ্যান মগ্ন হইলা যোগী বসিয়া দিব্য আসনে।
দিব্য দৃষ্টিতে করিলে পরখ
অতীত, বর্তমান, অনাগত,
সবার মাঝারে ছড়ালে বাণী
"ওঠো,জাগো,জগৎ সভা প্রতীক্ষারত"।
তোমার আহ্বানে জাগিল ভারত
অবসান হইল অমানিশা,
তোমার প্রেরণায় বীর সন্ন্যাসী
রিক্ত ভারতে নবালোকের দিশা।
স্বদেশের ভূমি পেরিয়ে স্পর্শ
করিলে বিশ্ব আসরে,
ভারতমাতাকে করিলে মহান
একতার বাণী পৌঁছিবারে।
সৌর্য বীর্য ব্রহ্মতেজে ক্ষাত্র বীর্যবান,
বজ্রের ন্যায় ছিল কঠোর
তোমার জাগরণের গান।
জড়তার ঘুম ভাঙ্গিয়া তুমি
করিলে বিশ্বজয়,
তিমিরের বুক ছেদিয়া আনিলে
ভারতের পূণ্য সূর্যোদয়।
প্রবাদপ্রতিম সেনাপতি ওগো
তোমার কভু নাহি ক্ষয়,
জীবের মাঝে বিবেক জাগাইতে
দিলে জাগ্রত অভয়।
- সুপর্ণা মজুমদার রায়
আগরতলা
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১২ জানুয়ারি ২০২৩