প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই তিপ্রা মথা যেন রাজ্য রাজনীতিতে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। দলের প্রবীণ নেতৃত্বদের মধ্যে একমাত্র অনিমেষ দেববর্মা ছাড়া আর কাউকে প্রার্থী করেননি তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা। তিনি নিজেও প্রার্থী হননি। অথচ এডিসি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়ী হন।দলীয় সূত্রে জানা গেছে বরিষ্ঠ নেতৃত্বদের মধ্যে এই নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাদের মধ্যে অনেকে দল ছাড়ার কথা ভাবছেন বলেও জানা যায়। প্রথমেই ধরা যাক জগদীশ দেববর্মার কথা। তিনি প্রবীণ নেতা। মান্দাইকেন্দ্র থেকে দল তাকে টিকিট দিতে পারতো কিন্তু দলের সুপ্রিমো তা করেননি। বয়সে প্রবীণ এবং শারীরিক ভাবে কিছুটা দুর্বল হলেও বিজয় রাঙ্খল এখনো সংসদীয় রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা করতে পারেন। তিনি দলেরও সভাপতি। তাকেও কিন্তু টিকিট দেওয়া হয়নি। প্রবীণ নেতা রাজেশ্বর দেববর্মা। গোলাঘাটি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। তিপ্রা মথা তাকেও টিকিট দেয়নি। গোলাঘাটিতে তিনি প্রার্থী হলে শাসক দলকে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারতেন। বিধাযক পদ ছেড়ে ত্রিপুরা মাথায় যোগ দিয়েছেন মেবার কুমার জমাতিয়া। দল তাকেও প্রার্থী করেনি। বিগত নির্বাচনে আইপিএফটি'র টিকিটের জয়ী হয়ে মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। সেই মেবারকেও টিকিট দেননি প্রদ্যোৎ মাণিক্য। করবুক কেন্দ্র থেকে বিগত বিধানসভা নির্বাচনে আইপিএফটির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বুর্ব মোহন জমাতিয়া। বিধায়ক পদ ছেড়ে তিনি তিপ্রা মথায় যোগ দিয়েছিলেন।তিনিও টিকিট পাননি। রইলেন এন্টনি দেববর্মা। দলের তাত্বিক নেতাদের মধ্যে একজন। দলের প্রবক্তা। অথচ তাকেও টিকিট দেওয়া হয়নি। এই একঝাঁক তারকা নেতৃত্বকে টিকিট না দিয়ে বুবাগ্রা কি বার্তা দিতে চাইছেন তা হয়তো তিনিই বলতে পারবেন। প্রবীণদের উপর ভরসা না করে নবীনদের উপর ভরসা করায় তারা কতটা কি করতে পারবেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ভোটের ফল ঘোষণা পর্যন্ত।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
৩১ জানুয়ারি ২০২৩