Type Here to Get Search Results !

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা, তিন মাসে ঝরলো ১০ হাজার প্রাণ

নিজস্ব প্রতিনিধি আরশিকথাঃ

বন্দুক হামলায় বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ বন্দুক সহিংসতায় প্রাণ হারায়। চলতি বছরেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালের তিন মাসেই দেশটিতে ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। নতুন এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে সবশেষ সোমবার (২৭ মার্চ) টেনেসি রাজ্যের ন্যাশভিলের একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে তিন শিশুসহ ছয় জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময় পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী এক তরুণীও মারা গেছে বলে জানা গেছে।স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ন্যাশভিল শহরের বার্টন হিলস ডক্টর এলাকায় কভেন্যান্ট প্রেসবিটারিয়ান চার্চের কভেন্যান্ট স্কুলে এক বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে তিন শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। তাদেরকে নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করে।

স্কুলটিতে মূলত নার্সারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। শিক্ষার্থী সংখ্যা ২০০ জনের মতো। হামলার পর তারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। এরপর পুলিশ তাদেরকে নিকটবর্তী একটা চার্চে নিয়ে গিয়ে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়। নিহতদের কারও সম্পর্কেই বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে পুলিশ বলেছে, বন্দুকধারী ২৮ বছর বয়সী একজন নারী এবং ন্যাশভিলের বাসিন্দা। পুলিশ স্কুলভবনে প্রবেশ করে তার ওপর গুলি চালায়।

বন্দুক সহিংসতার তথ্য-উপাত্ত রাখে এমন একটি সংস্থা গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বন্দুক সহিংসতায় চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার মার্কিনি প্রাণ হারিয়েছেন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা কতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, এ পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট।

গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ বলছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১৩০টি নির্বিচার বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্বিচার গুলির ঘটনা ঘটেছে ২০২১ সালে। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৬৯০টি নির্বিচার গুলির ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪৭টি ঘটনা ঘটে গত বছর (২০২২)। আর ৬১০টি নির্বিচার গুলির ঘটনা ঘটেছে ২০২০ সালে।

গত বছর জেএএমএ নেটওয়ার্ক ওপেনে প্রকাশিত এক গবেষণায় গত তিন দশকে আগ্নেয়াস্ত্রে মৃত্যুর ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, ১৯৯০ সাল থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ আগ্নেয়াস্ত্রে প্রাণ হারিয়েছেন।



তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট


আরশিকথা দেশ-বিদেশ

২৯ মার্চ ২০২৩


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.