চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারে বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে বায়োগ্যাস। নদীর পানি ছাড়াও পরিবেশ দূষণমুক্ত হতে শুরু করেছে। নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলায় স্বাভাবিক হয়ে উঠছে বাজারের পরিবেশ। বর্জ্য থেকে উৎপাদিত বায়োগ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে বাজারের দোকানগুলোতে। চমৎকার চুয়াডাঙ্গার অংশ হিসাবে পৌরসভার পক্ষ থেকে নির্মাণ করা হয়েছে বায়োগ্যাস প্লান্ট। লাঘব হয়েছে দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ। এখানে প্রতিদিন গ্যাস উৎপাদন হবে ৫ ঘন মিটার।
পৌর এলাকার বর্জ্য এক সময় যত্রতত্র ফেলা হত। ফলে দূষণের শিকার হতো পরিবেশ ও নদী। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে রয়েছে বড়বাজার। স্থানীয়দের কাছে এটি জেলার অন্যতম বড় একটি বাজার হিসাবে পরিচিত। এ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র পাওয়া যায়। আগে প্রতিদিন বাজারের সব বর্জ্য ফেলা হতো নদীর পাড়ে। এতে পানিতে গিয়ে সব মিশে যেতো । বড়বাজারে রয়েছে কাঁচাবাজার, মাংসের বাজার ও মাছের বাজার। ফলে মুরগি, ছাগল ও গরুর বর্জ্য নদীতে গিয়েই মিশতো।
পরিবেশ ও নদীর পানি দূষণমুক্ত রাখতে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বড়বাজারের পশু জবাইখানার পাশে নির্মাণ করা হয় বায়োগ্যাস প্লান্ট। কাঁচাবাজারের পচা সবজি, মাছ ও মুরগির নাড়ি-ভুঁড়ি-পাখনা, মাংসের বাজারের গোঘাসি, গো বরসহ বাজারের বর্জ্য এখন থেকে ফেলা হচ্ছে ওই বায়োগ্যাস প্লান্টের ট্যাংকে। বর্জ্য পচে তৈরি হচ্ছে বায়োগ্যাস।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ইউজিআইআইপি-৩ প্রকল্পের আওতায় বায়োগ্যাস উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে। ৫ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্যাংকির গভীরতা ৭ ফুট ও চওড়া ১০ ফুট। ট্যাংকের ভেতরে ২৫০০ হাজার লিটার করে বর্জ্য ও পানির মিশ্রণ রাখা যাবে, যা থেকে গ্যাস উৎপাদন হবে। উৎপাদিত গ্যাস ৫-৬ জনের মাঝে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। প্রতিদিন ট্যাংকে ২০০ কেজি বর্জ্য ফেলা হবে, যা থেকে গ্যাসের পাশাপাশি জৈব সার উৎপাদন হবে।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১৪ই জুলাই ২০২৩