দক্ষিণ আমেরিকার দেশে পেরুতে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে গিলেন ব্যারে সিনড্রোম বা জিবিএস নামের একটি নতুন রোগ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী তিন মাস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। খবর এএফপির।
বার্তাসংস্থা মার্কোপ্রেসের তথ্য অনুযায়ী, জুনের শুরু থেকে পেরুতে ১৮২ জনের শরীরে জিবিএস রোগ শনাক্ত হয়েছে। অবশ্য এরইমধ্যে ১৪৭ জন সুস্থ হয়েছেন। ৩১ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি। প্রাণ হারিয়েছেন চার জন।
পরিস্থিতি ভয়াবহতা বুঝে এরইমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পেরু সরকার। এমনকি রোগটিকে পুরোপুরি নির্মূল করার চেষ্টায় গোটা দেশে আগামী তিন মাস জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
পেরুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেজার ভাসকুয়েজকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পেরুতে উল্লেখযোগ্য হারে জিবিএস রোগ শনাক্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতে জনগণের স্বাস্থ্য এবং জীবন রক্ষার জন্য রাষ্ট্র জরুরি অবস্থা জারির মত কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে।পেরুর ২৫টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা প্রযোজ্য হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে এখন পর্যন্ত এই রোগটি সারানোর কোনো ওষুধ নেই। মূলত এই কারণেই রোগটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী আতঙ্কে কাজ করছে। এছাড়া রোগটির সংক্রমণের পদ্ধতিও অজানা। ফলে কীভাবে কাদের মধ্যে এই রোগ ছড়াতে পারে, তা কেউ জানে না। বিজ্ঞানীরাও এই ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে এই রোগে আক্রান্তদের জিকা ভাইরাস, কোভিড ও ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী জিবিএস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আপাতভাবে কম মনে হলেও রোগটি বেশ ভয়ানক বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই রোগে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্নায়ুকে সরাসরি আক্রমণ করে। তবে কেন, কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া এর জন্য দায়ী, তার কোনো তথ্য এখনও মেলেনি। মূলত ৫০ বছরের কাছাকাছি ব্যক্তিদেরই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১৪ই জুলাই, ২০২৩