হঠাৎ করে রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রভাব উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত সাথে রয়েছে বিশালগড় মহকুমা। যা কার্যত দুশ্চিন্তার সৃষ্টি করেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রভাব কতটুকু রয়েছে রাজ্যে এবং সিপাহীজলা জেলায় তার বিবরণ তুলে ধরলেন সিপাহীজলা জেলা শাসক বিশাল কুমার। বিশ্রামগঞ্জে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলাশাসক জানান এখন পর্যন্ত সিপাহীজলা জেলায় ২১১ জনের শরীরে ডেঙ্গু পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ জন এখনো একটিভ রয়েছে। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ে ভয়ের কোন কারণ নেই। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাতে যেমন রয়েছে মেডিকেল টিম তেমনি গোটা জেলায় স্বাস্থ্য দপ্তর সহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে বিভিন্ন ধরনের শিবির এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে সর্তকতা মূলক প্রচার সহ কর্মসূচি। জেলাশাসক সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বলেছেন কোন ভাবেই বাড়িতে ৭২ ঘন্টার বেশি জল জমিয়ে না রাখার জন্য। বৃষ্টির জল বসতঘরের পাশাপাশি জমে থাকলে সেটা পরিষ্কার করে নেওয়ার জন্য। মূলত ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলেই হয়। ডেঙ্গু নিয়ে অযথা ভয় এবং আতঙ্কের কোন কারণ নেই কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য জেলাবাসিকে আহ্বান জানান জেলাশাসক। অন্যদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশীষ দাস এবং জেলার টিকাকরণ অফিসার ডক্টর সর্বনি দেববর্মা জানান, জেলাতে এই বছর মিশন ইন্দ্রধনুষ প্রকল্পে ০ থেকে দুই বছরের মধ্যে ১৩৩৭ জন শিশুকে টিকাকরণ করা হবে এবং দুই থেকে পাঁচ বছরের ২৫৯ জন শিশুকে টিকাকরণ করা হবে এবং জেলার ৩৩৪ জন গর্ভবতী মহিলাকে টিকাকরণ করা হবে। ৭ই আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১২ই আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। বিভিন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কমিউনিটির স্বাস্থ্য কেন্দ্র অঙ্গওয়াড়ি সেন্টার সহ প্রায় ১৩১ টি সেন্টারে এই টিকাকরণ করা হবে।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
৫ই আগস্ট ২০২৩