আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন কর্তৃক যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে ০৫ আগস্ট ২০২৩, রোজ শনিবার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী-২০২৩ উদযাপন করা হয়। জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান দুই পর্বে আয়োজন করা হয়।
১ম পর্বে, বেলা ০১:৩০ ঘটিকায় আগরতলাস্থ ঐতিহাসিক গেদু মিঞা মসজিদে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত ও বাংলাদেশের উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এরপর বিকাল ০৩:৪০ ঘটিকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী সকলের উদ্দেশ্যে পাঠ করা হয়। বিকাল ০৩:৫০ ঘটিকায় শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় ০৪:০০ ঘটিকায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সন্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব স্বপন কুমার ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ড. দেবব্রত দেবরায়, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ও গবেষক ড. আশিষ কুমার বৈদ্য, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ও গবেষক ড. মুজাহিদ রহমান, ত্রিপুরার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. মোস্তফা কামাল, অত্র মিশনের প্রথম সচিব জনাব মোঃ আল আমীন এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন অত্র মিশনের সহকারী হাইকমিশনার জনাব আরিফ মোহাম্মাদ।
সহকারী হাইকমিশনার জনাব আরিফ মোহাম্মাদ তার সমাপনী বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৭৫-এ নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ, ৩০ লাখ শহিদ, সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী, একজন তারুণ্যে রোল মডেল। তিনি একাধারে যেমন দেশের সেরা ক্রীড়া সংগঠক এবং ক্রীড়াবিদ ছিলেন, তেমনি ছাত্র হিসেবে ছিলেন অসাধারন মেধাবী। শহীদ শেখ কামালের জীবন, উদ্দীপ্ত যৌবনের ও কর্মের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন এদেশের ছাত্র ও যুব সমাজের কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব এবং স্বাধীনতা পরবর্তী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পুরোধা। অতুলনীয় মেধার অধিকারী শেখ কামাল খেলার মাঠ থেকে নাটকের মঞ্চ, সংগীত জগত অথবা বিতর্ক সকল ক্ষেত্রে আলোড়ন তুলেছিলেন। যারা তাঁর সান্নিধ্যে এসেছেন তারা অনুভব করেছেন তাঁর স্নিগ্ধ, হাস্যেজ্জ্বল, মমত্ববোধ সম্পন্ন চরিত্র। অফুরন্ত প্রানশক্তির অধিকারী মানুষটি একই সঙ্গে ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, ভদ্র, নির্লোভ, নিরহংকারী ও সদালাপী। সহকারী হাইকমিশনার বলেন, ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫-এর কালরাতে ঘাতকের গুলিতে শাহাদত বরণকারী শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল তাঁর সক্রিয় কর্মজীবন, দৃপ্ত পদচারণা ও অতুলনীয় অবদান-এর জন্যে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে চিরঅনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার সুশীল সমাজের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অত্র মিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান জনাব মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী। বিকাল ০৫:০০ ঘটিকায় আগত অতিথিদের আপ্যায়িত করার মধ্যে দিয়ে ২য় পর্বের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
আরশিকথা হাইলাইটস
৫ই আগস্ট ২০২৩

.jpeg)













