ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম চিকিৎিসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। হাসপাতালটি এখন বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। ফলে সেখানে কোনো ধরনের চিকিৎসাই দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গাজার বৃহত্তম এ হাসপাতালটি গত মাসেই ইসরাইলি বাহিনীর টার্গেটে পরিণত হয়। হামাসের সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছে এমন অভিযোগ এনে সেখানে নির্বিচারে নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালানো হয়।ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় বর্তমানে পুরো হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন চিকিৎসকরা। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা, ওষুধের ঘাটতি, চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে সেখানে আর কোনো রোগীকেই চিকিৎসাসেবা দেয়া যাচ্ছে না।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ইসরাইল-হামাসের যুদ্ধের আগে পুরো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশই দিয়ে আসছিল আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্স। কিন্তু এখন সেখানে বিদ্যুৎ নেই এবং পুরো হাসপাতাল এখন হাজার হাজার উদ্বাস্তু মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
যুদ্ধের দীর্ঘ দেড় মাস পর কাতারের মধ্যস্থতায় গত ২৪ নভেম্বর দুইপক্ষের মধ্যে প্রথম দফায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর দুই দফায় মোট তিনদিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতি। এর মধ্যে চুক্তি মেনে উভয় পক্ষে মোট সাতবার বন্দি বিনিময় হয়েছে। ১ ডিসেম্বর এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফের গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করেছে ইসরাইলি সেনারা।
সবশেষ তথ্যানুযায়ী, ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
৭ই ডিসেম্বর ২০২৩