রাজ্য জুড়ে আমরা বাঙালির পক্ষ থেকে বাংলা ভাষার মর্যাদা এবং বাংলা ভাষাকে রক্ষার তাগিদে যে তিন ঘন্টার গন অবস্থান করা হয়েছে তার প্রতিফলন দেখা যায় ধর্মনগরের নেতাজী মূর্তির পাদদেশে। সকাল ১১টা থেকে ধর্মনগরের নেতাজী মূর্তির পাদদেশে অমরা বাঙালির পক্ষ থেকে বাংলা ভাষাকে সঠিক মর্যাদা এবং বাংলা ভাষা রক্ষার্থে তিন ঘণ্টার গণ অবস্থান সংগঠিত হয়।
এই গণঅবস্থানে আমরা বাঙালির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদক গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল, রাজ্য কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ দেবনাথ সহ অন্যান্য মহকুমার সদস্যরা। রাজ্য কমিটির সম্পাদক গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল বলেন, ২০২৫ থেকে যে নতুন শিক্ষা নীতি চালু হচ্ছে তাতে ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের যেকোনো একটি ধ্রুপদী ভাষাকে নেওয়ার অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। ছয়টি ধ্রুপদী ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষার স্থান নেই। বাংলা ভাষা, ভারতের সংবিধান স্বীকৃত ভাষাগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা।ভারতবর্ষে তথা পৃথিবীর প্রাচীন ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলা ভাষা থাকলেও এই ধ্রুপদী ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলা ভাষাকে স্থান দেওয়া হয়নি। যে ভাষা দেশে এবং সারা পৃথিবীতে সমাদৃত সেই ভাষাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে। ভারতের জাতীয় সংগীত এবং পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত যে ভাষার উপর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন সেই ভাষাকে উপেক্ষা বাঙ্গালীরা কোনোমতেই মেনে নেবে না। বাংলা ভাষায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন এখন ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে তার বিরোধিতায় রাজ্য জুড়ে অমরা বাঙালি গণঅবস্থানে সামিল হয়েছে। প্রয়োজনে ওপার বাংলায় যেমন করে ভাষা আন্দোলন হয়েছিল,তাছাড়া আসামের বরাক উপত্যকায় ভাষা আন্দোলন হয়েছিল বাংলা ভাষার রক্ষার্থে পুনরায় এমন করে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। যে যাই রাজনীতি করুক না কেন, বাংলা ভাষাকে বাঁচাতে,তার মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সব বাঙালিকে একত্রিত হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় এই গন অবস্থান থেকে। ধর্মনগরের বিদ্যামুদ্ধি সম্পন্ন সংস্কৃতি প্রিয় মানুষের প্রতি বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষার্থে বাংলা ভাষার আত্মমর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সবাইকে আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।তথ্য ও ছবিঃ তন্ময় বণিক
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
৭ই ডিসেম্বর ২০২৩