ছাত্রছাত্রীদের গুণগত মানের শিক্ষা পরিষেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাজ্যের বর্তমান সরকার। সেই দিশা নিয়েই কাজ করছে সরকার। বর্তমান সময়টা প্রযুক্তির যুগ। সময়ের সাথে সাথে আপডেট হতে হবে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে পড়াশুনার ক্ষেত্রে উপকৃত হয় সেভাবেই কাজ করতে হবে। এর পাশাপাশি বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে পরিচালনাধীন স্কুলগুলির ফলাফল নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। এক্ষেত্রে কি কি সমস্যা রয়েছে সেটা নিরসনের জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ছেলেমেয়েদের উন্নত মানের শিক্ষা প্রদানের জন্য সরকার খুবই আন্তরিক। বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের আপডেট রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন প্রযুক্তির যুগ। সেই সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ছাত্রছাত্রীদেরও আপডেট রাখতে হবে। বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও যাতে চ্যানেলটিতে সম্প্রসারন করা যায় সেটা দেখতে হবে। এদিন অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দিল্লি থেকেও সুখ্যাতি এসেছে বলে অবগত হয়েছি। তবে আরো ভালো করতে হবে। প্রথমবার পরিদর্শনে এসে অনেককিছু দেখলাম জানলাম। চ্যানেলের স্টুডিও আরো কিছুটা উন্নত করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের পেনড্রাইভের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য সরবরাহের জন্য গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি এই চ্যানেলটি সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত ফিডব্যাক নেওয়ার জন্য গুরুত্বারোপ করেন তিনি। প্রয়োজনে এবিষয়ে খোঁজখবর নিতে তিনি নিজেও স্কুলে যাবেন বলে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে পরিচালনাধীন স্কুলগুলিতে ফলাফল নিয়েও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ সাহা। তিনি বলেন, বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলিতে আগে ভালো রেজাল্ট ছিল। তবে এবারের ফলাফল নিয়ে সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনা করা হবে। শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পরিদর্শন কালে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
১৭ই মে ২০২৪