জাতীয় সংহতির রঙিন বুনন অক্ষুন্ন রেখে শারদীয়া উৎসবে ক্লাবসমূহে ও সামাজিক সংস্থায় ডিজে সংস্কৃতি প্রতিহত করে বাংলা ও স্থানীয় জনজাতি সংস্কৃতির ওপর জোর দেওয়ার জন্য কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আজ বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের আগরতলা সংসদের এক প্রতিনিধি দল তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্যের কাছে এক স্মারকলিপি প্রদান করে। প্রতি বছর, ত্রিপুরার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর আগরতলা শহরের ক্লাবগুলির মধ্যে শারদীয়া উৎসবকে কেন্দ্র করে মন্ডপ সজ্জা, প্রতিমা সজ্জা, পরিবেশ বজায় রাখা, আলোকসজ্জা ইত্যাদি বিষয়ে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এছাড়াও, আই সি এ দপ্তর সম্মানিত বিচারক প্যানেলের মতামতের ভিত্তিতে "দশমী যাত্রা" কার্নিভালে নির্বাচিত ক্লাবগুলিকে পুরস্কৃত করে। এই উদ্যোগগুলি সমাজে বিভিন্ন ইতিবাচক বার্তা পাঠায়, পাশাপাশি শারদীয়া উৎসবকে আরও আনন্দমুখর করে তোলে। এবছরও এই সকল প্রতিযোগিতামূলক কর্মসূচীগুলো অব্যাহত থাকবে এই প্রত্যাশায়, বাংলা সংস্কৃতি বলয় আই সি এ দপ্তরের কাছে এ সংক্রান্ত কিছু প্রস্তাব রেখে আজ স্মারকলিপি প্রদান করে।
১) ডিজে সংস্কৃতি কোনভাবেই আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সামাজিক জীবন বা পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই ডিজে সংস্কৃতি তরুণদের মধ্যে একটি বিকৃত উন্মাদনা তৈরি করে এবং তাদের নেশা এবং বিকৃত মানসিকতাপূর্ণ সামাজিক ব্যাধির মতো অসুস্থতার দিকে নিয়ে যায়। আসন্ন শারদ উৎসবে ডিজে সংস্কৃতির অবতারণা করবে এমন সব ক্লাব বা সামাজিক সংস্থাকে প্রতিযোগিতার বাইরে রাখতে হবে।
২) শারদ উৎসবে স্থানীয় সংস্কৃতির এবং জাতীয় সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কিত সৃজনশীল গান, নৃত্য, নাটক, আবৃত্তি, চিত্রকলা এবং ভাস্কর্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, বিশেষ করে বাংলা ও জনজাতির সংস্কৃতি চর্চা এবং এই সম্পর্কিত স্যুভেনির প্রকাশ ইত্যাদি বিষয়গুলোকে প্রতিযোগিতার প্রধান মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
৩) সমস্ত ক্লাব বা সামাজিক সংস্থাগুলির প্রস্তুতির সুবিধার্থে, শারদ উৎসবের কমপক্ষে তিন মাস আগে ক্লাবগুলির সাথে একটি সভা করে বা বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে আই সি এ দপ্তর দ্বারা প্রতিযোগিতার মানদণ্ড সম্পর্কে অবহিত করারও প্রস্তাব করা হয়েছে।
-