নিজস্ব প্রতিনিধি,
প্যালেস্টাইনে হামলার প্রতিবাদে আমেরিকার
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইজরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
হয়। কিন্তু কোন ভাবেই তা সয্য হয়নি ইজরায়েল-বান্ধব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
তার জেরে একাধিকবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ‘শাস্তির খাঁড়া’ চাপিয়েছে ট্রাম্প
প্রশাসন। এবার সরাসরি ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড
সিকিয়োরিটির সচিব এক্স হ্যান্ডেল লেখেন, ‘হিংসায় মদত দেওয়া, ইহুদি বিদ্বেষ ছড়ানোর মত
অভিযোগ রয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। ক্যাম্পাসে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির
কার্যকলাপ চলছে। সঠিক কাজ করার বহু সুযোগ ছিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে।কিন্তু
সেটা তারা করেনি। যেহেতু আইন মেনে চলছে না হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, তাই বিদেশি পড়ুয়াদের
ভর্তি করা এবং স্টুডেন্টস এক্সচেঞ্জের অধিকার হারাল তারা।’ তবে হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটির
তরফে জানানো হয়েছে, বিদেশিদের ভর্তি করার অধিকার ফিরে পেতে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে দিতে হবে প্রশাসনের হাতে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের
পর প্রশ্ন উঠছে, বর্তমানে যেসব বিদেশি পড়ুয়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন তাঁদের
পড়াশুনার কী হবে? পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কমপক্ষে ৬ হাজার ৮০০ বিদেশি পড়ুয়া বর্তমানে হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৮৮ জন ভারতীয়। অধিকাংশই স্নাতক স্তরের
পড়াশোনা করছেন ঐতিহ্যশালী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। কেউ বা আবার ডক্টরেট বা অন্যান্য
দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে যুক্ত রয়েছেন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে তাঁদের পড়াশোনায় বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন
পড়ে গেল।মার্কিন প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তে অবিলম্বে হার্ভার্ড ছাড়তে হবে ভারতীয় সহ
অন্যান্য দেশের পড়ুয়াদের। তবে তাঁরা চাইলে অন্য কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে
পারেন বলে জানা গেছে।
Akb tv news
23.05.2025