মনের গহীনে যদি কখনো আপনার স্বপ্ন উঁকি দেয়- জীবনে একবারের জন্য হলেও এশিয়ার দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে পা টা ভিজিয়ে আসবেন। তাহলে একটু সময় করে বেড়িয়ে আসতে পারেন। এজন্য আপনাকে পৃথিবীর দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে না। বাংলাদেশের কক্সবাজারেই অবস্থিত এশিয়ার দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকত। অবিরল দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্রের জলরাশি, ঝাউবন, পাহাড়ি বন, ঝর্ণাসহ কী নেই সেখানে। সবই মিলবে কক্সবাজার সমুদ্রের পারে। ১৫৬ কিলোমিটার (৯৬ মাইল) বিস্তৃত এই সমুদ্র সৈকতের অপরূপ সৌন্দর্যে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য।
কিভাবে যাবেন:
আগরতলা থেকে আপনি যদি বিমানে
যেতে চান সেক্ষেত্রে একটু বেশি ব্যয় এবং সময় লেগে যাবে। কারণ ঢাকা আগরতলা বিমান নেই।
আপনাকে অন্য রুট হয়ে ঢাকা যেতে হবে বিমানে তারপর ঢাকা থেকে কক্সবাজারের বিমান পাবেন।
ট্রেনে যেতে চাইলেও আপনার পথ সেক্ষেত্রে একটু সহজ হয়ে যাবে। আগরতলা থেকে আখাউড়া সীমান্ত
পেরোলেই আপনি চট্টগ্রামের ট্রেন পাবেন। তারপর চট্টগ্রাম থেকে বাস কিংবা বিমানযোগে পৌঁছে
যেতে পারবেন কক্সবাজার। এছাড়া ঢাকা থেকে দিন রাত সব সময় অসংখ্য বাস এসি ননএসি সমস্ত
বাসই কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ভাড়াও সাধ্যের মধ্যে। এসি বাস ১২০০ থেকে ১৫০০
টাকা এবং নন এসি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা।
কোথায় থাকবেন:
কক্সবাজারে থাকার জন্য প্রচুর
হোটেল রয়েছে। লাক্সারিয়াস হোটেল থেকে শুরু করে নরমাল হোটলে সবই আপনি সেখানে পাবেন।
নরমাল হোটেলের ভাড়াও অনেক কম। ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা। ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে অনেক
অভিজাত হোটেল পাবেন। আর লাক্সারিয়াস হোটেল তো আছেই।
কোথায় কোথায় ঘুরবেন :
কক্সবাজার শহরটাই একটা পর্যটন
নগরী। শহর থেকে একটু দূরের হিমছড়ি ঝরণা। দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারে
সৈকত সংলগ্ন
আরও অনেক
দর্শনীয় এলাকা
রয়েছে যা
পর্যটকদের জন্য প্রধান আকর্ষণের বিষয়। সৈকত
সংলগ্ন আকর্ষণীয়
এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ইনানী সৈকত যা কক্সবাজার
শহর থেকে
প্রায় ৩৫
কি.মি
দক্ষিণে অবস্থিত। অভাবনীয়
সৌন্দর্যে ভরপুর এই সমুদ্র সৈকতটি
কক্সবাজার থেকে রাস্তায় মাত্র আধঘণ্টার
দূরত্বে অবস্থিত। পরিষ্কার
পানির জন্য
জায়গাটি পর্যটকদের
কাছে সমুদ্রস্নানের
জন্য উৎকৃষ্ট
বলে বিবেচিত। এছাড়া
সেন্টমার্টিন দ্বীপ রয়েছে।বাংলাদেশের
সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ।
এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সমুদ্রপ্রেমিদের কাছে এটি ব্যাপক পরিচিত একটি নাম।