সব্জির বাজারে মন্দা চলছে। ক্রেতারা বাজারমুখী হচ্ছেন না। যারাও আসছেন সামান্য পরিমান সব্জিই কিনছেন। এই অবস্থায় লাভের মুখ দেখতে পারছেননা সব্জি ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর মহারাজগঞ্জ বাজারে গিয়ে এই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। এমন নয় যে বাজারে সব্জির যোগান নেই।
কিন্তু দেখা নেই ক্রেতার। বিগত তিনচার মাস ধরেই এই অবস্থা চলছে বলে জানান সব্জি ব্যবসায়ীরা। তারা এখন আর লাভের মুখ দেখেন না বলে আক্ষেপ করে। বেচাকেনা ঠিকভাবে না হওয়ায় অনেক সব্জি নষ্ট হয় বলে জানান। মহারাজগঞ্জ বাজারে বুধবার(৮আগস্ট) সব্জির দর এরকম - পটল প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৩০ টাকা, ঝিঙে ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা। বাজারে এই মরশুমের সমস্ত সব্জিই রয়েছে। টম্যাটো, মরিচ সহ নানারকম শাক, লতাপাতাও রয়েছে। কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় বেচাকেনা একেবারেই মন্দা।
ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসে আছেন অথচ বিক্রি করতে পারছেননা। সব্জির দাম সস্তা হওয়া সত্বেও কেন ক্রেতারা বাজারমুখী হচ্ছেন না তা বুঝতে পারছেননা অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা। এবারের বর্ষায় সব্জির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। সেইসঙ্গে বিগত তিনচার মাস ধরেই বাজার মন্দা চলছে। ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, এখন সরকারি কর্মচারী ছাড়া অন্য অংশের মানুষের হাতে নগদ টাকাপয়সা তেমন নেই। আসেন না অন্যান্য বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। সাধারণ মানুষের হাতে টাকাপয়সা নেই বলেই বিক্রি কম। তাই পাইকারি ব্যবসায়িরাও সব্জি কেনার জন্য বাজারে আসেন না। ঐ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় নতুন সরকার আসার পর বাজার অর্থনীতিতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। রাজ্যের নয়া সরকার নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়তে চাইছে। যা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সমান্তরালভাবে দাবি উঠেছে বিকল্প কর্মসংস্থানের। তা নাহলে অর্থব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়তে বাধ্য বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ঠিকেদারি কাজকর্মও বন্ধ হয়ে রয়েছে। সরকার বদলের পর পাঁচমাস অতিক্রান্ত হলেও ঠিকেদারি কাজকর্ম এখনও ছন্দে ফেরেনি। সব মিলিয়েই বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তথ্যভিজ্ঞ মহল।
৮ই আগস্ট ২০১৮ইং