Type Here to Get Search Results !

ঢাকায় অসমের বস্ত্র প্রদর্শনীতে ব্যাপক সাড়া, দুই কোটি টাকার অসমের থলুয়া বস্ত্রের অর্ডার দিল বাংলাদেশ


আবু আলী, ঢাকা ।। বাংলাদেশেও যে অসমের ট্রাডিশনাল বস্ত্রের চাহিদা রয়েছে, এবার তা বোঝা গেল ঢাকায় অনুষ্ঠিত চারদিন ব্যাপী অসমের বস্ত্র প্রদর্শনী এক্সপোতে। শুক্রবার শেষ দিনেও অসমের থলুয়া বস্ত্র প্রদশর্নীতে উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। চার দিনে দুই কোটি টাকারও বেশি অসমের বস্ত্রের অর্ডার দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

অসম হস্ততাঁত এবং বস্ত্রশিল্প সঞ্চালককের আয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল হ্যান্ডলুম এক্সপোতে ১৪টি স্টলে অসমের থলুয়া বস্ত্র শুধু প্রদর্শনী করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার ঢাকার হোটেল পূর্বানীতে ইন্টারন্যাশনাল হ্যান্ডলুম এক্সপো শুরু হয়েছিল। শুক্রবার শেষ দিনেও দর্শনার্থদের ভিড় দেখা গেছে। গত মঙ্গলবার এক্সপোটির উদ্বোধন করেছিলেন অসম হ্যান্ডলুম এন্ড টেক্সাটাইলের কমিশনার গৌরভ বুতরা। এ সময় অসম হ্যান্ডলুম এন্ড টেক্সটাইলের পরিচালক কবিতা ডেকাসহ পরিচালক মুক্তা নাথ সইকিয়া, ডেপুটি সেক্রেটারি পুলক মহন্ত, গিরেন সরকারসহ অসম সরকারের বিভিন্ন আধিকারিক ও উদ্যোক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
এ মেলায় অসমের হস্ততাঁত ও বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত মোট ১৪ স্টল স্থান পেয়েছে। অসমের ট্রাডিশনাল মেখলা চাদর, গামোছা, চেলিং চাদর, মোকা, এরি রেশম ছাড়াও রেডিমেট আইটেম, জ্যাকেট ও কোর্ট এই এক্সপোতে প্রদর্শন করা হচ্ছে।
শুক্রবার এক্সপোর সমাপনী দিনে অংশগ্রহণকারী অসমের ১৪ জন উদ্যোক্তকে সার্টিফিকেট দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অসম হস্ততাঁত ও বস্ত্রশিল্প সঞ্চালায়কের এক্সিবিশন অফিসার অখিল কুমার শর্মা ও পাবলিক রিলেশন অফিসার এ আর চৌধুরীসহ অসম সরকারের আধিকারিকরা। অখিল কুমার শর্মা জানান, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে অসমের থলুয়া বস্ত্রের বিপুল চাহিদা রয়েছে। গত চার দিনে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তিনি বলেন, প্রথমবার ঢাকায় অসমের বস্ত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজনটা আরও ভালো করা হলে আরও ভালো হত। পাবলিক রিলেশন অফিসার এ আর চৌধুরী বলেন, আমরা আগে ভাবতেই পারিনি যে বাংলাদেশে অসমের বস্ত্রের এতো চাহিদা রয়েছে। গত চার দিনে দুই কোটি টাকারও বেশি অর্ডার পেয়েছি। বিক্রির অনুমতি না থাকায় অনেক ক্রেতা এসে ফিরে গেছেন। তিনি বলেন, অনুমতির অভাবে বিপুল পরিমাণ বস্ত্র বর্ডার থেকে ফিরে গেছে। সে সব বস্ত্রগুলো আসলে আরও বেশি অর্ডার আমরা পেতাম। প্রথমবার আয়োজনের কারণে আমাদের অনেক দুর্বলতা ছিল। আশা করছি পরবর্তীতে আরও ভালো করে আয়োজন করতে পারবো। উদ্যোক্ত মনোস্মিতা হাজারিকা জানান, বস্ত্র নগরী ঢাকাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা আসেন। অসমের থলুয়া বস্ত্রকে গ্লোবাল মার্কেটে পরিচিত করতে আমাদের কাজ করতে হবে। আশা করি আমরা সফল হব।
ছবিঃ নিজস্ব ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.