Type Here to Get Search Results !

পাতার ওপর অপরূপ চিত্রকর্মে সেরা জীবনকাহিনী এঁকে চলেছে ত্রিপুরার শুভম


রবিঠাকুর বলেছেন, " মানুষ বুদ্ধির পরিচয় দেয় জ্ঞানের বিষয়ে,যোগ্যতার পরিচয় দেয় কৃতিত্বে,আপনারই পরিচয় দেয় সৃষ্টিতে।"

সৃষ্টিকে কত প্রকারে বিভক্ত করা যায় বা সে কত রূপে বর্তমান" ...এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়া বোধহয় মুশকিল।আমাদের একজন সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন এটা আমাদের বিশ্বাস।কিন্তু বিধাতার সৃষ্ট মানুষ এই পৃথিবীতে কি কি সৃষ্টি করেছে তার পরিসংখ্যান কি কেউ বলতে পারবে? চট করে বলা সত্যি কঠিন।পৃথিবীকে সুন্দর থেকে সুন্দরতর করে তুলতে মানুষের কোন তুলনা হবে না।তার তুলনা সে নিজেই।

আরশিকথা শুরু থেকেই সেইসব সৃষ্টিশীল মানুষের খোঁজে থেকেছে।পেয়েছেও।এবার আমাদের ঝুলিতে রয়েছে সৃষ্টিকর্মের এক অপরূপ নিদর্শনের কথা। 
শুভম সাহা।বাবামায়ের একমাত্র সন্তান।দক্ষিণ ত্রিপুরার অন্তর্গত সাব্রুমের আইটিআই- তে ইলেক্ট্রিশিয়ান কোর্সে পড়াশুনা করার পর বর্তমানে রাজধানী আগরতলার অনতিদূরে হাপানিয়াস্থিত ওএনজিসির সদর কার্যালয়ে ট্রেনি ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত।তাকে ঘিরেই পরিবারের অনেক স্বপ্ন।পরিবারের উপার্জন বলতে বাবার অটোর ব্যবসা।মা গৃহিণী।এই স্বল্প আয়েই একমাত্র ছেলের ইচ্ছে এবং শখকে প্রাধান্য দিয়ে চলেছেন সাহা পরিবার।ছেলে অনেক বড় হবে।সুনাম অর্জন করবে।বাবামায়ের মুখ উজ্জ্বল করবে পাশাপাশি নিজ শিল্পকর্মে বিশ্বজয় করবে...শুভমের বাবামা সংসারের শত টানাটানিতেও এই স্বপ্নেই দিনযাপন করেন।আর শুভমের এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রেরণা।


আর এই প্রেরণা তাকে তার শিল্পকর্মে একটু একটু করে প্রতিষ্ঠিত করে চলেছে।গাছের পাতার ওপর অপরূপ শিল্পকর্মে শুভমের সৃষ্টিতে দেশবিদেশের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে চারপাশে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা কিংবা সমাজ জীবনের নানা ছাপ অথবা নৈপুণ্য ও দক্ষতার দাবিদারে থাকা সংস্কৃতির নিদর্শন...কি নেই !

ছোটবেলা থেকেই এই শখ নিয়ে একটু একটু করে বড় হয়েছে শুভম।আজ এই শখে সে সাবালক।রাজ্য,বহিরাজ্য এবং দেশবিদেশের বহু গুণীজনের প্রশংসা এবং আশীর্বাদ কুড়িয়েছে শুভম।দৈনন্দিন জীবনযাপনের সমস্যা তাকে দমাতে পারেনি কখনো।বহু চাপে থাকা তার মন কখনও এই শখ থেকে তাকে আলাদা করেনি।শখের অভ্যেসে গড়ে ওঠা ক্লান্তিহীন মন তাকে বরাবরই সংগ দিয়ে পৌঁছে দিয়েছে এক অনন্য সৃষ্টির ঠিকানায়।
 আরশিকথা গোটা বিশ্বে স্বপ্নিল শুভমের এই অপরূপ সৃষ্টিকর্মকে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়ভার গ্রহণ করেছে।আমাদের বিশ্বাস আরশিকথা পরিবারের প্রত্যেক সদস্য তার এই সৃষ্টিকর্মকে পৌঁছে দেবে দেশ থেকে দেশান্তরে।শুভমের স্বপ্ন একদিন সত্যি হবে।
তার বাবামায়ের মুখ উজ্জ্বল হবে।ত্রিপুরা রাজ্যের সুনাম বৃদ্ধির ইতিহাসে শুভমের নাম উজ্জ্বল থাকবে...আরশিকথা এইসব স্বপ্নে শুভমের হাত ধরলো।


শুভমের স্বপ্ন সফল হোক।।

প্রধান সম্পাদকের কলামে

ছবিঃ সৌজন্যে শুভম সাহা
৭ই মে ২০২০ 
    

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.