লক ডাউন পরিস্থিতিতে দুঃস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেই নিজের জন্মদিন পালন করলেন রাজ্যের বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সঙ্গীতশিল্পী পুষ্পিতা চক্রবর্তী।গোটা পৃথিবীতে করোনা ভাইরাসের আক্রমণে মানব সভ্যতা আজ এক হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে।কোন সামাজিক অনুষ্ঠান তো দূরের কথা বর্তমানে সামাজিক দূরত্বই পারে মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে।এই পরিস্থিতিতে নিজেদের বিশেষ দিনকে কেন্দ্র করে যাবতীয় সামাজিক অনুষ্ঠান ভুলে বেঁচে থাকা এবং বাঁচিয়ে রাখার নীতিতে নতুন করে জীবনযাপনে অভ্যস্ত হচ্ছে মানবকুল।
লক ডাউন পরিস্থিতিতে আজ গৃহবন্দি সবাই।সরকারি এবং বেসরকারি বহু প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে আছে।এই কারণে দৈনন্দিন জীবনযাপনে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের মানুষেরা।তাই তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সমাজের নানা অংশের মানুষ।মঙ্গলবার (৫ মে) ছিলো ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সঙ্গীতশিল্পী পুষ্পিতা চক্রবর্তীর জন্মদিন।পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে এই বছরের জন্মদিনে আর্তের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখলেন তিনি।তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজ্যের বিশিষ্টজনেরাও এই মহতি অনুষ্ঠানে যোগদান করলেন।
সামাজিক দূরত্ব সহ লক ডাউনের যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনেই বিশিষ্ট সমাজসেবী সদানন্দ দেবরায় এর নেতৃত্বে এদিন ১৫নং কমলাসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের গরীব ও দুঃস্থদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে নিজের জন্মদিনের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন পুষ্পিতা চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার (৫ মে) উক্ত কেন্দ্রের দক্ষিণ মধুপুর পঞ্চায়েতের ত্রিশ কার্ড গ্রামের ৪০ পরিবারের মধ্যে এই ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়।এই মহতি উদ্যোগে রাজ্যের বিশিষ্ট শিল্পী এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিক,অমর ঘোষ,নারায়ণ বিশ্বাস,অনিন্দিতা বিশ্বাস,নন্দিতা সাহা,দীপঙ্কর সাহা সহ এলাকার গ্রামপ্রধান প্রমুখরা উপস্থিত ছিলেন।আরশিকথা'র সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পুষ্পিতা চক্রবর্তী জানান,এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাজে আসার জন্য নিজেকে ধন্য মনে করছেন তিনি।এই বছরের জন্মদিনটিকে তিনি জীবনের শ্রেষ্ঠ জন্মদিন হিসেবেই সারা জীবন মনে রাখবেন।পাশাপাশি তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারাই এগিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাজ্যের এই জনপ্রিয় শিল্পী।প্রসঙ্গত,রাজ্যের বিশিষ্টজন পুষ্পিতা চক্রবর্তী একজন আইনি উপদেষ্টা হিসেবে শুরু থেকেই আরশিকথা পরিবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৬ই মে ২০২০