Type Here to Get Search Results !

ছয়দিন পর আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু ॥ ঈদে ঢল নেমেছিল মানুষের

 আবু আলী, ঢাকা:
পবিত্র ঈদুল আজহা, জাতীয় শোক দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে টানা ৬ দিন বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। ১৭ আগস্ট শনিবার সকাল থেকে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। আখাউড়া স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা ও শোক দিবসকে সামনে রেখে ১১ আগস্ট থেকে ৫ দিনের জন্য বন্দরে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া ১৬ আগস্ট শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় শনিবার থেকে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। এতে স্থানীয় শ্রমিকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এ বন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরাসহ সাতটি রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে মাছ, পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
ঈদে আগরতলঅ-আখাউড়া চেকপোস্টে মানুষের ঢল:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতগামী যাত্রীদের ঢল নামে। সাধারণ প্রতিদিন ৮শ-৯শ যাত্রী এ চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করতেন। কিন্ত ঈদের ছুটিতে তা ২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত এ চেকপোস্ট দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি যাত্রী ভারত গমন করে। এ সময় যাত্রীদের এ চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় স্থল শুল্ক স্টেশন ও ইমিগ্রেশন পুলিশকে। আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেপোস্টেও একই চিত্র। 
আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে প্রত্যক্ষদর্মীরা জানান, সাধারণত ভ্রমণ কর দিয়ে স্থল শুল্ক স্টেশন ও ইমিগ্রেশন পুলিশ কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে যাত্রীদের ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। তবে অতিরিক্ত যাত্রী চাপের কারণে দেড় থেকে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। অনেকেই আবার দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ক্লান্ত হয়ে ভারতে না গিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। যাত্রীদের চাপের কারণে দম ফেলারও সুযোগ পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। আখাউড়ায় লাইন পেরিয়ে আগরতলা ঢুকে সেখানেও আবার দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশর বৈধ পাসপোর্ট-ভিসাধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম চলে। এমনিতে প্রতিদিন দুই দেশের ৮শ থেকে ৯শ যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে। তবে ঈদ-পূজা এলে যাত্রীদের এ সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। সাধারণত ঈদ-পূজার সময়টাতে পারাপার হওয়া যাত্রীদের সিংহভাগই ভারতগামী। ঈদুল আযহার ছুটি উপলক্ষে গত ৯ আস্ট থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়। বুধবার এক হাজার ৮১৭ জন এবং বৃহস্পতিবার এক হাজার ৮৯৬ জন যাত্রী ভারতে গমন করেছেন।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেক পোস্টের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হামিদ জানান, আমিসহ চারজন ইমিগ্রেশনে কাজ করছি। চারজন মিলেও যাত্রীদের চাপ সামরাতে পারছি না। ঈদের আগে থেকে যাত্রীদের যে স্রোত শুরু হয়।

১৭ই আগস্ট ২০১৯

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.