আবু আলী, ঢাকা ॥
ভারত-বাংলাদেশের গুণীজনদের মিলনমেলা বসছে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর। ইন্দো বাংলা সেতু-বন্ধনের উদ্যোগে ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বসছে এই মিলনমেলা। ১৮ আগস্ট রবিবার আগরতলার জগন্নাথ বাড়ীতে ইন্দো বাংলা সেতু-বন্ধন ত্রিপুরার সভাপতি সুব্রত রঞ্জন রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দিপা দেববর্মন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ভোলা নাথ সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয়া চৌধুরী, ত্রিপুরা টাইমস’র সাংবাদিক মানবেন্দ্রনাথ, কার্য নির্বাহী সদস্য ড. সুব্রত রায়, শ্রীজিতা রায় প্রমুখ। এরআগেও এ সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে ইন্দো বাংলা সেতু-বন্ধন কলকাতা শাখার সাধারণ সম্পাদক অজন্তা দেববর্মন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মিলনমেলা সফল ও সার্থক করার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
জানা গেছে, মিলনমেলায় উভয় বাংলার গুণীজনেরা উপস্থিত থাকবেন। ইন্দো বাংলা সেতু-বন্ধন বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট তোফাজ্জল হোসেন, সুমন মোস্তাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আইনুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিরন প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফি, অর্থ সম্পাদক রহমান আজিজ, সাখাওয়াত হোসেন সুমন, নির্বাহী সদস্য কাওছার আজম, গোলাম মাওলা প্রমুখ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
ত্রিপরা সেতুবন্ধনের সভাপতি সুব্রত রঞ্জন রায় বলেন, সেতুবন্ধনের মাধ্যমে আমরা উভয় দেশের মধ্যে ভ্রতৃত্ব বন্ধন আরও দৃঢ় করব। এ বন্ধন এগিয়ে যাবে। উভয় দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। এ সুসম্পর্ককে আরও নতুন উচ্চতায় নেওয়ার ক্ষেত্রে সেতুবন্ধন বিরাট অবদান রাখবে।
ইন্দো বাংলা সেতুবন্ধন ত্রিপুরার সাধারণ সম্পাদক দিপা দেববর্মন বলেন, উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক এমনিতেই ভালো। একে সুদৃঢ করতে কাজ করতে হবে। আশা করছি আগামীতে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সেতুবন্ধ বড় ভূমিকা রাখবে।
কলকাতা সেতুবন্ধনের সাধারণ সম্পাদক অজন্তা দেববর্মন বলেন, সেতুবন্ধন দুই দেশ রাজ্যের মধ্যে সংস্কৃতির মেল বন্ধন ধরে রাখবে। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক শব্দের মধ্যে , সাহিত্য, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, ব্যবসা, অভিনয় জগত,শিক্ষা, আইন ,প্রশাসন, শিল্প, নাচও গান সব মিলিয়ে । একই সুন্দর মানসিকতার মানুষ একে অপরের আলিঙ্গনে, পাশাপাশি থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে । সেখানে থাকবে না জাতি, ধর্ম ,নীতি, ভেদাভেদ হিংসা প্রতিদ্বন্দ্বিতা অহংকার ।
সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, সকল সদস্যদের অনুমতি নিয়ে মাসে বা দুমাসে একবার সাহিত্য সভার মাধ্যমে যে যেখানে বলবে সেই ভাবে আলোচনার মাধ্যমে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । সেতু বন্ধন সংগঠনের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে । ছমাসে অথবা বছরে একবার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্যে ,দুদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক মত বিনিময় করতে হবে ।
১৯শে আগস্ট ২০১৯
১৯শে আগস্ট ২০১৯