Type Here to Get Search Results !

সংবৃতার আবৃত্তি উৎসব মাতিয়ে গেলেন মুনমুন মুখার্জি

প্রভাষ চৌধুরী, ঢাকা ব্যুরো এডিটর:
মুনমুন মুখার্জির কণ্ঠে উচ্চারিত কবিতার ভালোবাসায় মুগ্ধ হলো ঢাকাবাসী।কংক্রিটের এই শহরে এসে কণ্ঠের জাদুকর জয় করে গেলেন ভক্তদের হৃদয়।
তিনি যখন ‘বছর চারেক পর’ কবিতা আবৃত্তি করছিলেন, পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে তখন সুনশান নিরবতা।চোখ মুছতেও দেখা গেল অনেককে।পাকা দেড় ঘণ্টা যেন মুনমুনে বুঁদ সবাই।
শনিবার(২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টা।কানায় কানায় ঠাঁসা মিলনায়তন।চেয়ারে জায়গা না পেয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ভক্ত শ্রোতা। অপেক্ষা একটাই। কখন মুনমুন মুখার্জি মঞ্চে উঠবেন। উপস্থাপক শামসুজ্জামান বাবু’র ঘোষণায় মঞ্চে এলেন তিনি। শোনালেন একের পর এক ভালোবাসার কবিতা।অনুরোধ রাখলেন ভক্তদের। অষ্টম ‘সংবৃতা আবৃত্তি উৎসব’র সমাপনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে কবিতা দৃপ্ত উচ্চারণে তিনি ছুঁয়ে গেলেন মিলনায়তন ভর্তি দর্শক-শ্রোতার হৃদয়। কবিতা আবৃত্তির আগে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মুনমুন মুখার্জি বলেন, আবৃত্তির মাধ্যমে ভাষার শুদ্ধ চর্চাটাও একটা ভাষা আন্দোলন। আমাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
দুইদিনব্যাপী আবৃত্তি উৎসবের সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এ কে এম সামছুদ্দোহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান বাবু, বাচিকশিল্পী আশরাফুল আলম, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, অভিনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
আবৃত্তির বিশেষত্ব তুলে ধরতে গিয়ে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, আবৃত্তি আমাদের সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কেননা, কবিতার মধ্য দিয়ে আবৃত্তি আমাদের মানবিক গুণাবলি, অসাম্প্রদায়িকতা ও বিশেষ মূল্যবোধ তৈরিতে সাহায্য করে। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, বর্তমান সময়ে এসে আমরা বাংলা ভাষার মান, মাধুর্য, কমনীয়তা হারিয়ে ফেলছি। প্রমিত বাংলার পরিবর্তে আমরা এখন আঞ্চলিক ভাষাসহ অন্য ঘরানার ভাষার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছি। আমরা অবশ্যই আঞ্চলিক ও অন্য ভাষাকে সম্মান করি, তবে নিজেদের ভাষায় শুদ্ধ করে কথা বলতে পারাটাও আমাদের একটি নৈতিক দায়িত্ব। আর আবৃত্তির মাধ্যমে তা ফিরিয়া আনা সম্ভব। বাংলা ভাষার ফুল ফোটাতে আবৃত্তি অপরিহার্য। সমাপনী দিনের এ আয়োজনে উৎসবে আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শেষে মঞ্চে কবিতার ডালি নিয়ে হাজির হন মুনমুন মুখার্জি। কবিতার দৃপ্ত উচ্চারণে এসময় মুখরিত হতে থাকে পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তন। পিনপতন নীরবতায় এ আসর উপভোগ করেন কবিতাপ্রেমীরা।


ছবিঃ সৌজন্যে প্রভাস চৌধুরী

২৩শে সেপ্টেম্বর ২০১৯

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.