বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়।এই অনুভবে শুধুমাত্র বাঙালি জাতিই নয় গোটা বিশ্ববাসীর মনে তিনি অমর হয়ে আছেন।বিশ্বের তাবড় তাবড় খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকারদের নামের সারিতে তাঁর নাম শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হয়।'পথের পাঁচালী' থেকে শুরু করে গুপী গাইন বাঘা বাইন তারপর আগুন্তুক এইরকম বহু ছবির যাত্রাপথটা কিন্তু সহজ ছিলোনা।
তাঁর জীবনে ৩৫টিরও বেশী ছবি পরিচালনা করেছেন।সেই স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকারের আজ ১০০তম জন্মদিন।১৯২১ সালের ২রা মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়।পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে।
যুগ থেকে যুগান্তরে সত্যজিৎ রায় এর অমর সৃষ্টি 'ফেলুদা' তাঁর একটি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিশীলতার স্বাক্ষর বয়ে চলেছে। সিনেমার ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন হিসেবে খ্যাত 'পথের পাঁচালী' নির্মাণের মধ্য দিয়েই চলচ্চিত্রে তাঁর যাত্রা শুরু করেছিলেন।
এইসব অমর সৃষ্টির জন্য যেমন জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তেমনি আন্তর্জাতিক স্তরেও বহু সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন এই বরেণ্য চলচ্চিত্রকার। 'অস্কার' তাঁর আজীবন সম্মাননাস্বরূপ একাডেমি পুরস্কার।
মহান অভিনেতা ও নির্মাতা চার্লি চ্যাপলিনের পর একমাত্র তাঁকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছিলো।এছাড়া ১৯৮৭ সালে তৎকালীন ফ্রান্স সরকার তাঁকে সে দেশের বিশেষ সম্মাননা 'লেজিও দনরে' প্রদান করেন।১৯৮৫ সালে তিনি ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার 'দাদাসাহেব ফালকে' অর্জন করেন।
এই মহান কর্মবীরের মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বেই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান 'ভারতরত্ন' প্রদান করা হয় এবং সেই বছরই মৃত্যুর পর মহান চলচ্চিত্রকার তথা বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সত্যজিৎ রায়কে মরণোত্তর 'আকিরা কুরোসাওয়া' পুরস্কার প্রদান করা হয়।
২রা মে,২০২০ বিশ্বের খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় এর ১০০তম জন্মদিনে আরশিকথা পরিবারের পক্ষ থেকে এই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্বের প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা ও প্রণাম।তিনি বাঙালি হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন।বেঁচে থাকবেন সব অমর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে।বাংলা ছবির জগতকে তিনি ঋদ্ধ করে গেছেন সেইসব অবিস্মরণীয় সৃষ্টির মাধ্যমে।
তিনিই বাংলা ছবির এক অন্যতম দিশারী।
" মহারাজা... তোমারে সেলাম"
আরশিকথা প্রতিবেদন
ছবি ও তথ্যঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
২রা মে ২০২০
তাঁর জীবনে ৩৫টিরও বেশী ছবি পরিচালনা করেছেন।সেই স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকারের আজ ১০০তম জন্মদিন।১৯২১ সালের ২রা মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়।পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে।
একাধারে তিনি যেমন চলচ্চিত্রকার তেমনি প্রযোজক,চিত্রনাট্যকার,সাহিত্যিক, সঙ্গীত পরিচালক,গীতিকার হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন।এছাড়াও একজন সুলেখক হিসেবে সাহিত্যিক মানও তাঁর সমকালীন সময়ের অনেক নামজাদা লেখক কিংবা সাহিত্যিক থেকে কোন অংশেই কম বলে বিবেচিত হননি।
যুগ থেকে যুগান্তরে সত্যজিৎ রায় এর অমর সৃষ্টি 'ফেলুদা' তাঁর একটি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিশীলতার স্বাক্ষর বয়ে চলেছে। সিনেমার ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন হিসেবে খ্যাত 'পথের পাঁচালী' নির্মাণের মধ্য দিয়েই চলচ্চিত্রে তাঁর যাত্রা শুরু করেছিলেন।
তারপর থেকেই তাঁর ঝুলিতে একে একে যুক্ত হয় সেইসব অবিস্মরণীয় সৃষ্টিকল্প অপুর সংসার,জলসাঘর,মহানগর,পরশপাথর,অভিযান,নায়ক,গুপী গাইন বাঘা বাইন,কাপুরুষ ও মহাপুরুষ,সীমাবদ্ধ,অরণ্যের দিনরাত্রি,সোনার কেল্লা,অশনি সংকেত,জন অরণ্য,জয় বাবা ফেলুনাথ,শতরঞ্জ কি খিলাড়ী,ঘরে বাইরে,শাখা প্রশাখা,হীরক রাজার দেশে,গণশত্রু এবং সর্বশেষ অমর সৃষ্টি আগুন্তুক।
এইসব অমর সৃষ্টির জন্য যেমন জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তেমনি আন্তর্জাতিক স্তরেও বহু সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন এই বরেণ্য চলচ্চিত্রকার। 'অস্কার' তাঁর আজীবন সম্মাননাস্বরূপ একাডেমি পুরস্কার।
মহান অভিনেতা ও নির্মাতা চার্লি চ্যাপলিনের পর একমাত্র তাঁকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছিলো।এছাড়া ১৯৮৭ সালে তৎকালীন ফ্রান্স সরকার তাঁকে সে দেশের বিশেষ সম্মাননা 'লেজিও দনরে' প্রদান করেন।১৯৮৫ সালে তিনি ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার 'দাদাসাহেব ফালকে' অর্জন করেন।
" মহারাজা... তোমারে সেলাম"
আরশিকথা প্রতিবেদন
ছবি ও তথ্যঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
২রা মে ২০২০