গোটা বিশ্বের নানা পেশার মধ্যে সাংবাদিকতা একটি উল্লেখযোগ্য এবং অন্যতম পেশা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।বিশেষ আকর্ষণীয় এই পেশা আবার ঝুঁকিপূর্ণ পেশার তালিকায়ও প্রথম সারিতে অবস্থান করছে।বর্তমানে আধুনিক মানুষের জীবনে অনিবার্য হিসেবে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তেমনি পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা সয়ার কাছে এক গর্বের অবস্থানেই বিবেচ্য।আমাদের প্রতিদিনকার জীবনে তথ্য ও জ্ঞানের সম্ভারের যোগান থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ করার দিক থেকে সংবাদ মাধ্যম এক অপরিহার্য অঙ্গ হিসেবে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে।
গোটা পৃথিবীতেই ৩রা মে দিনটিকে ' World Press Freedom Day ' হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।সংবাদ এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে নানা যুক্তিতর্কের শেষ নেই।আজও বহু প্রশ্নচিহ্নের মুখে এই স্বাধীনতা দাঁড়িয়ে।
প্রসঙ্গত, সমাজের যেকোনো উন্নয়ন কিংবা সংশোধনে অথবা পরিবর্তনে তথ্যের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই তথ্যজ্ঞানের অন্বেষণে মানুষ নানা ধরণের গণমাধ্যমের শরণাপন্ন হয়।' The Medium is the Message ' --এই বিখ্যাত উক্তিটির মাধ্যমে মার্শাল ম্যাকলুহান গণমাধ্যমের শক্তিশালী প্রভাবের দিকটি তুলে ধরেন।
ম্যাকলুহান তার ' Understanding Media ' বইতে লিখেছেন, " The effects of technology do not occur at the level of opinion of concepts, but the other sense ratios of patterns of perception steadily and without resistance. " মার্শাল ম্যাকলুহানের কথা থেকেই সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় যে সমাজে গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটা।
আগামী ১০বছরের মধ্যেই সাংবাদিকদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার সংগঠন তথা আরএসএফ।সংগঠনের তরফ থেকে ২০২০ সালের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক অনুযায়ী এই তথ্য দেওয়া হয়।
এই তথ্যের পর্যালোচনা ক্রমে দেখা গেছে যে সংকটগুলো সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে এবং করোনা ভাইরাসের ফলে যে মহামারী দেখা দিয়েছে এই সময়কালে তা আরও বেশী করে পরিলক্ষিত হচ্ছে।আরএসএফ এর মতে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যদি এই সময় সাংবাদিকদের পাশে না দাঁড়ান তাহলে আগামীদিনে এক ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার আশংকা বেশী।গোটা বিশ্বের ১৮০টি দেশের সাংবাদিকদের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই এই স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করেছে আরএসএফ।
এই সূচকে বলা হয় যে কিছু বিশেষ সংকট কেন্দ্রীভূত হয়ে ওঠার কারণেই আগামী ১০বছর সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।এইসব সংকটগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রযুক্তির সংকট,বিশ্বাসের ঘাটতি বা সংকট,গণতান্ত্রিক সংকট,অর্থনৈতিক সংকট এবং রাজনৈতিক সংকট প্রভৃতি।
সাংবাদিকদের সুরক্ষায় নিয়োজিত আরএসএফ সংগঠনের মহাসচিব ক্রিস্টোফি ডেলোইরি তার বক্তব্যে বলেছেন, " আমরা সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ আক্রান্ত করতে পারা সংকট সঙ্গে নিয়ে একটি নীতিনির্ধারণকারী দশকে প্রবেশ করছি।তিনি আরও বলেন, " করোনা ভাইরাসের মহামারীর বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়ার অধিকারের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা নেতিবাচক ফ্যাক্টরগুলোকে সামনে আনছে আর এই মহামারী নিজেই এইসব ফ্যাক্টরগুলোকে বাড়িয়ে তুলছে।
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে আগামী ১০বছরের মধ্যে তথ্য ভিত্তিক সংবাদের স্বাধীনতা কিংবা বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ? যদি উত্তর খুঁজতেই হয় তাহলে তা আজকেই নির্ধারণ করতে হবে বলে মনে করেন ক্রিস্টোফি ডেলোইরি।
তাই এই বিপদের আভাসে সমাজের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা যাতে সাংবাদিকদের পাশে থাকেন সেই আহ্বান রেখেছেন এবং এর মধ্য দিয়েই সংবাদ ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতার বিষয়টি এক সফলতার দৃষ্টান্তে থাকবে বলেও মনে করছেন তিনি।
প্রধান সম্পাদকের কলামে
আরশিকথা
তথ্যঋণঃ "গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতা"
এবং "আজ সারাবেলা"
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
৩রা মে ২০২০
গোটা পৃথিবীতেই ৩রা মে দিনটিকে ' World Press Freedom Day ' হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।সংবাদ এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে নানা যুক্তিতর্কের শেষ নেই।আজও বহু প্রশ্নচিহ্নের মুখে এই স্বাধীনতা দাঁড়িয়ে।
প্রসঙ্গত, সমাজের যেকোনো উন্নয়ন কিংবা সংশোধনে অথবা পরিবর্তনে তথ্যের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই তথ্যজ্ঞানের অন্বেষণে মানুষ নানা ধরণের গণমাধ্যমের শরণাপন্ন হয়।' The Medium is the Message ' --এই বিখ্যাত উক্তিটির মাধ্যমে মার্শাল ম্যাকলুহান গণমাধ্যমের শক্তিশালী প্রভাবের দিকটি তুলে ধরেন।
ম্যাকলুহান তার ' Understanding Media ' বইতে লিখেছেন, " The effects of technology do not occur at the level of opinion of concepts, but the other sense ratios of patterns of perception steadily and without resistance. " মার্শাল ম্যাকলুহানের কথা থেকেই সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় যে সমাজে গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটা।
আগামী ১০বছরের মধ্যেই সাংবাদিকদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার সংগঠন তথা আরএসএফ।সংগঠনের তরফ থেকে ২০২০ সালের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক অনুযায়ী এই তথ্য দেওয়া হয়।
এই তথ্যের পর্যালোচনা ক্রমে দেখা গেছে যে সংকটগুলো সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে এবং করোনা ভাইরাসের ফলে যে মহামারী দেখা দিয়েছে এই সময়কালে তা আরও বেশী করে পরিলক্ষিত হচ্ছে।আরএসএফ এর মতে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যদি এই সময় সাংবাদিকদের পাশে না দাঁড়ান তাহলে আগামীদিনে এক ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার আশংকা বেশী।গোটা বিশ্বের ১৮০টি দেশের সাংবাদিকদের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই এই স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করেছে আরএসএফ।
এই সূচকে বলা হয় যে কিছু বিশেষ সংকট কেন্দ্রীভূত হয়ে ওঠার কারণেই আগামী ১০বছর সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।এইসব সংকটগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রযুক্তির সংকট,বিশ্বাসের ঘাটতি বা সংকট,গণতান্ত্রিক সংকট,অর্থনৈতিক সংকট এবং রাজনৈতিক সংকট প্রভৃতি।
সাংবাদিকদের সুরক্ষায় নিয়োজিত আরএসএফ সংগঠনের মহাসচিব ক্রিস্টোফি ডেলোইরি তার বক্তব্যে বলেছেন, " আমরা সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ আক্রান্ত করতে পারা সংকট সঙ্গে নিয়ে একটি নীতিনির্ধারণকারী দশকে প্রবেশ করছি।তিনি আরও বলেন, " করোনা ভাইরাসের মহামারীর বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়ার অধিকারের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা নেতিবাচক ফ্যাক্টরগুলোকে সামনে আনছে আর এই মহামারী নিজেই এইসব ফ্যাক্টরগুলোকে বাড়িয়ে তুলছে।
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে আগামী ১০বছরের মধ্যে তথ্য ভিত্তিক সংবাদের স্বাধীনতা কিংবা বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ? যদি উত্তর খুঁজতেই হয় তাহলে তা আজকেই নির্ধারণ করতে হবে বলে মনে করেন ক্রিস্টোফি ডেলোইরি।
তাই এই বিপদের আভাসে সমাজের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা যাতে সাংবাদিকদের পাশে থাকেন সেই আহ্বান রেখেছেন এবং এর মধ্য দিয়েই সংবাদ ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতার বিষয়টি এক সফলতার দৃষ্টান্তে থাকবে বলেও মনে করছেন তিনি।
প্রধান সম্পাদকের কলামে
আরশিকথা
তথ্যঋণঃ "গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতা"
এবং "আজ সারাবেলা"
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
৩রা মে ২০২০