মাতৃভাষায় অনুভূত হয় মায়ের মমতা মাখানো মিষ্টি মুখ । মাতৃভাষা মায়ের আবেগভরা স্নেহ মাখানো হাসির মতো । বিশ্বকবি বলেছেন মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের মতো । মাতৃভাষা উচ্চারিত হলে মায়ের গন্ধ লাগে নাকে । মাতৃভাষা উচ্চারিত হলে মায়ের চেহারা ভাসে চোখে । মাতৃভাষা আমাদের হ্রদয়ানুভূতি । মাতৃভাষা উচ্চারিত হলে হ্রদয়ে পুলক লাগে । নিজের উজ্জ্বল উপস্থিতি খুঁজে পাই । মাতৃভাষার অনুভূতি অসীমান্তিক । মাতৃভাষার অনুভূতি জাতি ,ধর্ম ,বর্ণ ,বা রাষ্ট্রের বিচারে বিবেচিত হয় না । মাতৃভাষার কাছে ধর্ম বড়োই দুর্বল হয়ে যায় । মাতৃভাষাই উজ্জ্বল হয়ে উঠে ।
অমর একুশে যেমন বাঙালির অহংকার, তেমনি মহান উনিশে আমাদের সম্মানবোধ , আমাদের চেতনা । আমাদের হ্রদয়ের এক আকাশ জুড়ে যেমন একুশ আছে, একুশ বাঁচে, তেমনি আমাদের মননের এক অসীমান্তিক জায়গায় পরিব্যাপ্ত হয়ে আছে মহান উনিশে । একুশে যেমন আজ বিশ্বজনীন মাতৃভাষার চেতনায় উন্নীত, মহান উনিশও তেমনি অনিবার্যভাবে উদ্ভাসিত হচ্ছে ভাষার জন্য আন্তর্জাতিক আত্মত্যাগ দিবসে । একুশ অথবা উনিশ আজ আমাদের সত্বায়, আমাদের মননে । তাই আজ একুশে ফেব্রুয়ারির মতোই উনিশে মে ও এক হ্রদয়ানুভূতি । এ এক প্রতিবাদের ভাষা । এ যেন শপথের প্রস্তুতি, সম্মানের অঙ্গীকার ।
এই মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষা করার জন্য উনিশশো একষট্টি সালের উনিশে মে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার শিলচরে এগারো জন দেশপ্রেমিক মানুষ তৎকালীন আসাম সরকারের পুলিশের গুলির সামনে বুক উঁচিয়ে দিয়ে শহীদের মৃত্যু বরণ করেছিলেন । আসুন আজ আমরা তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি ।
মাতৃভাষার জন্য এটাই এখনো পর্যন্ত পৃথিবীতে সর্ব বৃহৎ আত্মত্যাগের ঘটনা । যে এগারো জন সেদিন শিলচরের রাজপথে নিজের বুকের সবটুকু রক্ত উজাড় করে দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একটি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ে ছিল । যাঁর নাম কমলা ভট্টাচার্য । এই বিশ্বে ভাষার জন্য তিনিই প্রথম নারী শহীদ ।
শহীদ কমলা ভট্টাচার্য ছাড়া বাকিরা হলেন শহীদ তরণী দেবনাথ, শহীদ কানাইলাল নিয়োগী, শহীদ শচীন্দ্র পাল, শহীদ বীরেন্দ্র সূত্রধর, শহীদ সুনীল সরকার, শহীদ কুমুদ রন্জন দাস,শহীদ সত্যেন্দ্র দেব, শহীদ হীতেশ রন্জন বিশ্বাস, শহীদ চন্ডীচরণ সূত্রধর এবং শহীদ সুকোমলপুরকায়স্থ । দেশভাগের পর উনিশশো সাতচল্লিশ সালের উনত্রিশে আগস্ট শিলং টাইমস কাগজে আসামের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বরদলৈ বললেন Assam is for Assamese. স্বাধীন আসামের প্রথম বিধানসভা অধিবেশনে তদানীন্তন রাজ্যপাল আকবর হায়দরি উদ্বোধনী ভাষনে বললেন The Natives of Assam are now the Master of there Own house. সেই থেকেই মূলত শুরু । অথচ আসামে দীর্ঘদিন শিক্ষার মাধ্যম ছিল বাংলা ।
অমর একুশে যেমন বাঙালির অহংকার, তেমনি মহান উনিশে আমাদের সম্মানবোধ , আমাদের চেতনা । আমাদের হ্রদয়ের এক আকাশ জুড়ে যেমন একুশ আছে, একুশ বাঁচে, তেমনি আমাদের মননের এক অসীমান্তিক জায়গায় পরিব্যাপ্ত হয়ে আছে মহান উনিশে । একুশে যেমন আজ বিশ্বজনীন মাতৃভাষার চেতনায় উন্নীত, মহান উনিশও তেমনি অনিবার্যভাবে উদ্ভাসিত হচ্ছে ভাষার জন্য আন্তর্জাতিক আত্মত্যাগ দিবসে । একুশ অথবা উনিশ আজ আমাদের সত্বায়, আমাদের মননে । তাই আজ একুশে ফেব্রুয়ারির মতোই উনিশে মে ও এক হ্রদয়ানুভূতি । এ এক প্রতিবাদের ভাষা । এ যেন শপথের প্রস্তুতি, সম্মানের অঙ্গীকার ।
এই মাতৃভাষা বাংলাকে রক্ষা করার জন্য উনিশশো একষট্টি সালের উনিশে মে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার শিলচরে এগারো জন দেশপ্রেমিক মানুষ তৎকালীন আসাম সরকারের পুলিশের গুলির সামনে বুক উঁচিয়ে দিয়ে শহীদের মৃত্যু বরণ করেছিলেন । আসুন আজ আমরা তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি ।
মাতৃভাষার জন্য এটাই এখনো পর্যন্ত পৃথিবীতে সর্ব বৃহৎ আত্মত্যাগের ঘটনা । যে এগারো জন সেদিন শিলচরের রাজপথে নিজের বুকের সবটুকু রক্ত উজাড় করে দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একটি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ে ছিল । যাঁর নাম কমলা ভট্টাচার্য । এই বিশ্বে ভাষার জন্য তিনিই প্রথম নারী শহীদ ।
শহীদ কমলা ভট্টাচার্য ছাড়া বাকিরা হলেন শহীদ তরণী দেবনাথ, শহীদ কানাইলাল নিয়োগী, শহীদ শচীন্দ্র পাল, শহীদ বীরেন্দ্র সূত্রধর, শহীদ সুনীল সরকার, শহীদ কুমুদ রন্জন দাস,শহীদ সত্যেন্দ্র দেব, শহীদ হীতেশ রন্জন বিশ্বাস, শহীদ চন্ডীচরণ সূত্রধর এবং শহীদ সুকোমলপুরকায়স্থ । দেশভাগের পর উনিশশো সাতচল্লিশ সালের উনত্রিশে আগস্ট শিলং টাইমস কাগজে আসামের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বরদলৈ বললেন Assam is for Assamese. স্বাধীন আসামের প্রথম বিধানসভা অধিবেশনে তদানীন্তন রাজ্যপাল আকবর হায়দরি উদ্বোধনী ভাষনে বললেন The Natives of Assam are now the Master of there Own house. সেই থেকেই মূলত শুরু । অথচ আসামে দীর্ঘদিন শিক্ষার মাধ্যম ছিল বাংলা ।
আসামের বাঙালিরা মাতৃভাষার এই অসম্মানকে মেনে নিতে পারেন নি । বাংলা ভাষার মর্যাদার জন্য শুরু হলো সংগ্রাম । দীর্ঘ প্রায় তেরো বছরের সংগ্রাম শেষে এলো উনিশশো একষট্টি সাল । বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবার্ষিকী । প্রেরণা বাহান্নর ভাষা আন্দোলন । অবশেষে এলো মহান উনিশে মে । তীব্র গণআন্দোলন শুরু হলো চারদিকে । এদিনই শিলচর রেল স্টেশন সংলগ্ন গণঅবস্থানে পুলিশের গুলিতে এগারো জন শহীদের মৃত্যু বরণ করেন । অসংখ্য সংগ্রামী জনগণ আহত হন । পরে আরও দুজন মৃত্যু বরণ করেন ।
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য সেদিন যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, আসুন তাদের স্মৃতির প্রতি এবং তাদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য সেদিন যাঁরা শহীদ হয়েছিলেন, আসুন তাদের স্মৃতির প্রতি এবং তাদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
ডঃ দেবব্রত দেবরায়
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক
ত্রিপুরা
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১৮ই মে ২০২০