Type Here to Get Search Results !

শায়েস্তাগঞ্জ এম এ রব চত্বরে যান ও জনচলাচলে দুর্ভোগ, প্রয়োজন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপঃ সাইফুর রহমান কায়েস

সাইফুর রহমান কায়েস, বাংলাদেশঃ


সপ্তাহ জুড়ে মায়ের কাছে সস্নেহ ছায়ায় কাটিয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি। জীবন এখন একটা লোকাল বাসের মতো বলেই যাত্রীদের সকল উপরোধ সত্বেও আঊশকান্দিতে থেমে আছে তো আছেই। বাস ছাড়ার নাম নেই। একেই বলে তলানীতে ঠেকে যাওয়া। যাত্রীগণ তাদের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটায় প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছেন। যাত্রীসেবার মান নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলতে পারি। যাত্রীগণ সেবা পাবেন দূরের কথা, উল্টো হয়রানির শিকার হন প্রায়শঃই। হবিগঞ্জ- শায়েস্তাগঞ্জ -আউশকান্দি-সিলেট রুটে হবিগঞ্জ সিলেট রুটের বাসের চেকারদের দ্বারা যাত্রীগণ শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ এলাকায় হেনস্তার শিকার হচ্ছেন সর্বদা। কিন্তু যাত্রীগণ যে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার পাবেন সে সুযোগ ও নাই। তারা অন্য পরিবহন সংস্থার গাড়িতে যাত্রী উঠতেই দেয় না। উঠলেও যাত্রীদেরকে নেমে যেতে বাধ্য করে, তাদের মানহীন বাসে চড়তে বাধ্য করে। আমরা পরিবহন রুটের বিরতিহীন বাসের চেকারদের এ ধরনের অনৈতিকতার তীব্র প্রতিবাদ করছি। এটা একধরনের মাস্তানতন্ত্রেরও প্রতিফলন বটে। একচেটিয়াভাবে জনসাধারণকে জিম্মি করে হয়রানিমূলক আচরণ একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কষ্মিনকালেও কাম্য নয়। জনপ্রশাসন এ বিষয়টিতে নজর দিয়ে আমলে এনে যান ও জনচলাচলে শৃঙ্খলা আনার ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা রেখে জনমনে স্বস্থি ফিরিয়ে আনবেন এমনটাই আমরা কামনা করি।

হবিগঞ্জ - শায়েস্তাগঞ্জ- আউশকান্দি-সিলেট এবং হবিগঞ্জ- শ্রীমঙ্গল - শেরপুর - সিলেট রুটে যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে প্রতিযোগীতা সৃষ্টির জন্য বি আরটিসির বাস চালুর বিষয়টি বিবেচনা করতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আরেকটি কথা বলে শেষ করতে চাই। সেটি হলো শায়েস্তাগঞ্জ চুনারুঘাট রুটে নতুন করে আবার শীত ও কুয়াশার দোহাই দিয়ে সন্ধ্যা নামলেই বিশ টাকার জায়গায় ত্রিশ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এটি জনসাধারণ্যের অসহায়ত্বের সুযোগে জিম্মি করার শামিল। এসবই হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। কিন্তু কেউ দেখার নেই। আরেকটি নমুনার কথা উল্লেখ না করলেই নয়। সেটি হচ্ছে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজের এম এ রব চত্বর এবং এর আশেপাশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা দলবদ্ধভাবে চাদাবাজি করছে। যেকোনো বিয়ের গাড়ি দেখলেই ঘিরে ধরে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের ঘটনাটি বেশ কয়েক বছর যাবৎ চলে আসলেও ভুক্তভোগীদের প্রতি সহৃদয়তা প্রদর্শনে কেউ এখনো এগিয়ে এসেছেন বলে এখনো আমাদের গোচরীভূত হয় নি। এটিও একধরনের সামাজিক ব্যাধি বলে আমরা মনে করি। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা এতোই সংঘবদ্ধ যে তাদেরকে কেউ প্রতিহত করতে চাইলে উল্টো হেনস্তার স্বীকার হয়েছেন বলেও জানা যায়। তাই যাত্রীসাধারণ্যের এসমস্ত দুর্ভোগ লাঘবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।


আরশিকথা অতিথি কলাম

(জনমত বিভাগ)

১৮ই ডিসেম্বর ২০২০
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.