যার জন্ম আছে কিন্তু মৃত্যু নেই।বিশ্বের ইতিহাসে একদম বিরল ঘটনা।বহু চর্চিত এবং বহু আলোচিত।যখন মানুষ বিজ্ঞানের হাত ধরে মূহুর্তে সব কিছু পেয়ে যাচ্ছে। দেশে শাসন পরিচালনার জন্য এক নয় একাধিক রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে।বিভিন্ন ইস্যুতে গোটা দেশ তোলপাড় হয়। কখনো কৃষক,কখনো শ্রমিক স্বার্থ।আবার কখনো সংরক্ষণ নিয়ে আওয়াজ আন্দোলন উঠে।নেতাজীর আত্মীয়কে সামনে রেখে ভোট নির্বাচনে লড়াই করা যায়।তাহলে তার মৃত্যু নিয়ে এত সোজাসাপ্টা উওর স্বাধীনতার এত বছর পরেও কেন পাওয়া গেল না।তার আত্মীয়রা এই নিয়ে নিজেদের অবস্থান কেন স্পষ্ট করছেন না।কিন্তু যেটা সত্যি সেটা হল সুভাষচন্দ্র ভারতীয় শ্রেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে অদ্বিতীয়।তাই তিনি নেতাজী।তার মতো ব্যক্তিত্ব পৃথিবীতে বিরল।তিনি একাধারে নেতা, দার্শনিক,বিপ্লবী,শিক্ষাবিদ, চিন্তাশীল,জাতীয়তাবাদী এবং আন্তর্জাতিকতাবাদী।তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নবজাগরণের অগ্রদূত।তিনি স্বামী বিবেকানন্দের আধ্যাত্মিক চেতনা,শ্রী অরবিন্দ এর বিপ্লবী আদর্শ,দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস রাজনৈতিক চিন্তাধারা সহ রাসবিহারী,যতীদ্রনাথ,সূর্য সেন এর মতো বিপ্লবী মানুষদের দ্বারা প্রভাবিত।ভারতের প্রতিটি মানুষের দেশপ্রেমের যে অগ্নিশিখা তিনি জ্বালিয়েছিলেন,তার ফলস্বরূপ বিপ্লব দেখা দিয়েছিল ভারতীয় পুলিশ ও সৈন্যবিভাগে।যার কারণে সমগ্র ভারতের আপামর জনগণ ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।
বাস্তবিকভাবেই নেতাজী দেশপ্রেম এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন,ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে শ্রেষ্ঠ নায়ক হিসাবে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
আরশিকথা হাইলাইটস
দেবাশীষ মজুমদার, ২৪ পরগণা
২৩শে জানুয়ারি ২০২১