উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা শুক্রবার বিধানসভায় ২২৭২৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব পেশ করেছেন। বাজেট বক্তব্যে উপমুখ্যমন্ত্রী দুই হাজার ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজ ও সাফল্য এবং আগামী আর্থিক বছরে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজের প্রস্তাব এর কথাও তুলে ধরেন। আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উপ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের শুরুতেই কোভিড ১৯ অতিমারির কথা তুলে ধরেন। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন এই বাজেট এমন একটা পরিস্থিতিতে প্রস্তুত করা হয়েছে যখন কোভিড ১৯ সমগ্র বিশ্বকে গ্রাস করেছে এবং যার প্রভাব সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে প্রত্যেক দেশই কম-বেশি অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। শ্রী দেববর্মা ২০২১ অর্থবছরের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কয়েকটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। তিনি জানান নতুন প্রকল্পগুলির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মডেল ভিলেজ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়নকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো। যা দেখে পার্শ্ববর্তী গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির অনুপ্রাণিত হতে পারে। এই প্রকল্প শুধুমাত্র গ্রামীণ এলাকার জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে। এই প্রকল্পটির ৩ পর্যায়ে কার্যকর করা হবে। বাজেট ভাষণে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার তিন বছরের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। চলতি অর্থবছরে রাজ্যে অতিরিক্ত ১৫ হাজার হেক্টর জমি জৈব চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন শিল্প ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত পরিকাঠামো সমগ্র রাজ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে। ত্রিপুরা থেকে রপ্তানির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের উন্নয়নে বিশেষ প্রাধান্য দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে সমস্ত রাজ্যবাসীর প্রতি গুণগত মানসম্মত এবং সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যপরিসেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের উন্নয়নে বিশেষ প্রাধান্য দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন বর্তমান সরকার ত্রিপুরার জনজাতি অংশের জনগণের আর্থ-সামাজিক, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দের কথাও তুলে ধরেন তিনি। বাজেট অধিবেশনে বিভিন্ন খাতে ঠিক কত পরিমাণ অর্থরাশি বরাদ্দ করা হয়েছে তা তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ ও সবকা বিশ্বাসকে পাথেয় করে রাজ্যকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছে। খুব সহসাই ত্রিপুরা ত্রিপুরা ও আত্মনির্ভর ত্রিপুরাতে পরিণত হবে।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৯ই মার্চ ২০২১