অন্তহীন মানুষের কাজ।কর্মক্লান্ত মানুষ তাই স্বভাবতই মাঝে মাঝে চায় কর্মের বিরতি।চায় জীবনের মধ্যে একটু বৈচিত্র্য আনতে।চায় দৈনন্দিন জীবনের দুঃখ-কষ্ট বিস্মৃত হয়ে অভাব অভিযোগ থেকে ছুটি পেতে।সেই সূত্র ধরেই উৎসবে মেতে থাকা জীবনের অঙ্গ।
বাঙালি উৎসব প্রিয় জাতি। বারো মাসে 'তেরো পার্বণের পালা' থাকে।বাঙালিদের উৎসবের মধ্যে অন্যতম হলো দোলযাত্রা,তা ধর্মীয় উৎসব হলেও ধর্মের গন্ডি ছাড়িয়ে হয়েছে সর্বজনীন।যেখানে সমাজের সকল স্তরের মানুষেরা উপস্থিত হন। শান্তিনিকেতন এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সাংস্কৃতিক সংস্থা সংগঠন নিজ নিজ এলাকায় সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।তবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানুষেরা বিভিন্ন রঙে গান,কবিতার মাধ্যমে এক আনন্দঘন স্বপ্নময় পরিবেশ গড়ে তোলে।কিন্তু এই বছর বিগত বছরে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া এক করোনা নামক ভাইরাসের কারণে অনেক জায়গায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি,সেই আতঙ্ক এখনও বিরাজমান।সেই দিক থেকে বর্তমানে সারা বিশ্বের সাথে বাঙালি যুব সমাজ ও বেশিরভাগ মানুষের রোজগারহীন জীবনে এবং মনে আতঙ্ক ও অবসাদ দূর করতে সাংস্কৃতিক চেতনা বৃদ্ধি করা আবশ্যক।তবে অনুষ্ঠান করবার সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে উৎসবের বাহ্যিক আড়ম্বরতার কারনে যেন করোনা নামক ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি না পায় এবং সেই সঙ্গে সমস্তরকম সাবধানতা অবলম্বন এবং সকলের সম্মিলিত ভাবে সচেতন মানসিকতা তুলে ধরতে হবে ।তাহলেই সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশের মাধ্যমে সুস্থ সমাজ গড়ে উঠবে।
দেবাশীষ মজুমদার
২৪ পরগণা
২৮শে মার্চ ২০২১