শিক্ষা হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষাই দেশ এবং জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই এই সরকার গত ৩ বছরে রাজ্যের শিক্ষার উন্নয়নে প্রায় ২৪ টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সোমবার রাজ্যে প্রথম শিক্ষামূলক চ্যানেল 'বন্দে ত্রিপুরা'-র আনুষ্ঠানিক সূচনা করে একথা বলেন। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পরিচালনায় নতুন এই চ্যানেলটি সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। মহাকরণে ভিডিও কনফারেন্স হলে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ, মুখ্য সচিব মনোজ কুমার, শিক্ষা সচিব সৌম্যা গুপ্তা, শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তার ইউ কে চাকমাসহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেব বোতাম টিপে নতুন এই চ্যানেলটি সূচনা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্যে শিক্ষার উন্নয়নে একের পর এক সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে। নতুন এই শিক্ষামূলক চ্যানেলে সূচনা এই কর্মসূচিরই একটি অন্যতম পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা দপ্তর একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও শিক্ষা দপ্তর পিছিয়ে নেই। কিভাবে রাজ্যের শিক্ষার্থীদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার জন্য শিক্ষা দপ্তর কাজ করছে। রাজ্য স্তরের পড়ুয়াদের জন্য এবং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা দপ্তর গত তিন বছর যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কার্যকর করেছে তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে গত ১৪ মাস ধরে বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। মাঝখানে স্কুল খুললে ও বর্তমান পরিস্থিতির কারণে পুনরায় বন্ধ রাখতে হয়েছে তিনি বলেন নতুন দিশা কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মানের অগ্রগতি ঘটানো হয়েছিল কিছু কিন্তু ১৪ মাস স্কুল বন্ধ থাকার ফলে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। এই অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের স্বার্থে নতুন এই চ্যানেলটি চালু করতে হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় আজ একটি শুভদিন বলে শিক্ষা মন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। বর্তমানে চ্যানেলটি সারা রাজ্যের ৯০ শতাংশ এলাকায় দেখতে পাওয়া যাবে। জি পি টি এল ক্যাবল নেটওয়ার্ক, সৃষ্টি হ্যাথওয়ে ক্যাবল নেটওয়ার্ক, জিও টিভি এবং ইউটিউব চ্যানেলে এবং বাকি ১০ শতাংশ ক্লাউড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেখতে পাওয়া যাবে। এই চ্যানেলটিতে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত পাঠ্যক্রম এর পাশাপাশি শিক্ষামূলক আলোচনা ও শিক্ষাসংক্রান্ত উন্যান্য বিষয় সম্প্রচারিত হবে।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১৭ই মে ২০২১