২০০১ সালের, ১ জুন বিশ্ব খাদ্য হিসাবে দুধের গুরুত্বকে বোঝাতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বিশ্ব দুগ্ধ দিবস চালু করে। দুধ প্রতিটি ব্যক্তির জন্য স্বাস্থ্যকর, সুষম ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং বিশ্ব দুগ্ধ দিবস এই বার্তাটি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত দিন। গত কয়েক বছরে, ভারতও বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুধ উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। দেশে প্রতিদিন ১৫০ মিলিয়ন টন ও মাথাপিছু ৩০০ গ্রামেরও বেশি দুধ উৎপাদন হয়। এই দিনে, দুধ এবং দুধজাত বিভিন্ন খাবার গ্রহণের যে সুবিধা রয়েছে, তা সকলের জন্য সরবরাহ করে তা বিশ্বজুড়ে সক্রিয়ভাবে প্রচার করা হয়। সেই সঙ্গে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় একশো লক্ষেরও বেশি মানুষের জীবনযাত্রাকে সমর্থন করা হয় এর মাধ্যমে। দুগ্ধজাত পণ্যগুলি কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, এটি বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষকে অর্থনৈতিক, পুষ্টি ও সামাজিক সুবিধা সরবরাহ করে। ভারত যেহেতু একটি কৃষিপ্রধান দেশ, তাই দেশের অন্যতম প্রধান খাদ্য বিবেচনা করে এই দিনটি আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। রান্নায় ভিন্ন ভাবে দুধ ব্যবহার করা হয় ঠিকই। কিন্তু দিনে কমপক্ষে একটি খাবারের সঙ্গে দুধ পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২১-র থিম : এইবছর বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের থিম ‘সাসটেইনেবিলিটি ইন দ্য ডেইরী সেক্টর অ্যালং উইথ এমপাওয়ারিং দ্য এনভায়রনমেন্ট, নিউট্রেশন অ্যান্ড সোসিও ইকোনোমিক'। যার অর্থ, পরিবেশ, পুষ্টি এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দুগ্ধ খাতে টেকসই হওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। দুগ্ধের স্বল্প-কার্বন ভবিষ্যত তৈরিতে সহায়তা করে বিশ্বের কাছে দুগ্ধ খামারকে নতুন করে পরিচয় করানোও লক্ষ্যও রয়েছে এই বছর। এই থিমটির মূল লক্ষ্য হল নিয়মিত ডায়েটে দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আরও বেশি করে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া।
আরশিকথা হাইলাইটস
১লা জুন ২০২১