২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর জুন মাসের ৩ তারিখে সমগ্র বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় বিশ্ব সাইকেল দিবস। বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস ঘোষণার পিছনে যে মানুষটির মৌলিক অবদান আছে, তিনি হলেন পোল্যান্ডের জাতীয় অলিম্পিকস সাইক্লিং দলের প্রাক্তন সদস্য লেসজেক সিবিলস্কি। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণ জনিত সমস্যার প্রতি জন সচেতনতা প্রসারের কাজে নিবেদিত এই মানুষটির, বলতে গেলে, একক প্রচেষ্টাতেই বিশ্ব সাইকেল দিবস ঘোষণার জন্য প্রচার অভিযান একটি আন্তর্জাতিক মাত্রা পায়। ক্রমে এই প্রচার অভিযানের সমর্থনে এগিয়ে আসে তুর্কমেনিস্তান ও অন্যান্য ৫৬টি দেশ। শেষপর্যন্ত ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ জুন বিশ্ব সাইকেল দিবস হিসাবে উদযাপনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। প্রাচীন মেসোপটেমিয়াতে চাকার আবিষ্কার নতুন সভ্যতার শুরু করে। প্রায় ২০০ বছর হলো চলছে দুই চাকার সাইকেল। অনেক দেশের অনেকেই দাবি করে, তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেছেন সাইকেল। তাই সেই আলাপে গিয়ে সুবিধা করা যাবে না। তবে দুই চাকার বাহন প্রথম জনসমক্ষে আনেন জার্মানির কার্ল ভন ড্যারন। তিনি ১৮১৭ সালে জার্মানিত ম্যানহেইম শহরে ঘটা করে সবাইকে তাঁর বানানো বাহন দেখান। সেটাকে ঠিক সাইকেল বলা যাবে না। বরং বলা চলে সাইকেলের মতো কিছু একটা, সেখান থেকে আধুনিক সাইকেলের ধারণাটা এসেছে। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আধুনিক সাইকেলের ব্যবহার শুরু হয়। তারপর থেকে সাইকেলের কত রকমফের বাজারে এসেছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সাইকেল দিবসের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘বাহন হিসেবে সাইকেল অনন্য। টেকসই আর বৈচিত্র্যময়। সাইকেল চালানো সহজ, অল্প টাকায় কেনা যায়, সমস্ত বৈষম্যের বেড়া পেরিয়ে সবাই ব্যবহার করতে পারেন সাইকেল। সাইকেল বিশ্বস্ত, পরিষ্কার আর পরিবেশের ক্ষতি করে না। স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। প্রায় দুই শতক ধরে মানুষের সঙ্গী এই পরিবহন। তাই সাইকেলকে উদযাপনের জন্য একটা দিন দেওয়াই যায়।’