বছরে একদিন জামাইবাবাজীকে তুষ্ট করবেন শাশুড়ি মায়েরা। তাই করোনার ভয়কে উপেক্ষা করেই মানুষ ভিড় জমিয়েছে বাজারে। মাছ, মাংস, ফল, মিষ্টি, জামাকাপড় সমস্ত দোকানেই ভিড়। বুধবার জামাইষষ্ঠীর তিথি। জামা কাপড়ের দোকানগুলোতে গত ক'দিন আগে থেকেই ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বুধবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মাছ ও মাংসের দোকানে ভীড় ছিল ব্যাপক। পাবদা, গলদা, কাতলা থেকে ইলিশ সবই রয়েছে। তবে ইলিশের যোগান খুব বেশি নয়। জামাইষষ্ঠীর বাজার বলে কথা। তাই ব্যবসায়ীরা অন্যদিনের তুলনায় দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে ক্রেতারাও কার্পণ্য করছেন না। যে যার সাধারণ মতো কিনে নিচ্ছেন। মাংসের দোকানেও পাঠা, পোল্ট্রি মুরগী, দেশি মুরগী রয়েছে বাজারে।ক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকায় অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে থেকে কিনতে হয়েছে।রাজধানীর মহারাজগঞ্জ বাজার, বটতলা বাজার, মঠ চৌমুহনী, লেইক চৌমুহনীসহ বিভিন্ন বাজারগুলিতে নেই সামাজিক দূরত্ব। মিষ্টির দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মিষ্টির দোকানগুলোতে দই, রসগোল্লাসহ শুকনো মিষ্টি চাহিদা ছিল লক্ষ্যণীয়।এখন ব্যস্ততার যুগে বাজারে সবকিছুই কিনতে পাওয়া যায়। নানা কারণে মানুষ বাড়িঘরে খুব একটা সময় দিতে পারেন না বলে বাজারের ওপর নির্ভরশীল। তাই চাহিদা অনুযায়ী ষষ্ঠী পুজোর যাবতীয় উপকরণ রয়েছে বাজারে।
ষষ্ঠীর বানা, ফুল, দূর্বা, নানা রকম বাহারি পাতা, রঙিন সুতো, কাঁচা হলুদ, করমচা সবই রয়েছে বাজারে। সবাই মে যার চাহিদা মতো কিনে নিচ্ছেন। বিভিন্ন বাজারগুলিতে মূল রাস্তার পাশেই পসরা সাজিয়ে বসে গেছেন ব্যবসায়ীরা।আগরতলা পুর নিগমসহ ৬টি পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েত এলাকায় বেলা দুইটার পর থেকে করোনা কারফিউ বলবৎ রয়েছে। আর অন্যত্র সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে করোনা কারফিউ। সংক্রমণ রোধে রাজ্য সরকার এ সিদ্ধান্ত নিলেও সকলে যে যার মতো করে কাজে বের হচ্ছেন। দ্বিতীয় পর্বের করোনা কারফিউতে প্রশাসন খুব একটা কড়াকড়ি দেখাচ্ছে না। পজিটিভিটির হার ৩ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে রয়েছে বলেই প্রশাসন হয়তো খুব একটা কড়াকড়ি দেখাচ্ছেন না বলে অনেকের অভিমত। সব মিলিয়ে বলা যায় বুধবার গোটা দিন অধিকাংশ বাড়িঘরেই বেশ ঘটা করে জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৬ই জুন ২০২১