একজন ভাড়াটিয়া কখনোই সম্পত্তির অধিকার দাবি করতে পারবেন না। তবে একই সঙ্গে মালিকপক্ষ তাকে যখন তখন উঠিয়ে দিতে পারবেন না। বাড়ি ভাড়া যদি বাড়াতে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তিনমাস আগে ভাড়াটেকে নোটিস দিতে হবে। ভাড়া নিয়ে কোনও সমস্যা হলে তার জন্য জল সরবরাহ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে না। বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়ার দুই পক্ষের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা নতুন আইনে এমনটাই নির্দেশ রয়েছে। এই আইনের আওতায় দেশের বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়ার স্বার্থ রক্ষার জন্য আদালত এবং ট্রাইবুনাল গঠন করা হবে। নয়া আইন অনুযায়ী পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভাড়াটিয়া বাড়ি ছাড়তে না পারলে সেক্ষেত্রে প্রথম দুই মাসে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হবে। এরপরেও যদি ভাড়াটিয়া সেই ঘর ছাড়তে না পারেন, সেক্ষেত্রে প্রতিমাসে চারগুণ ভাড়া দিতে হবে। অন্যদিকে বাড়িওয়ালা যদি সময়ের মধ্যে সিকিউরিটি ডিপোজিটের টাকা ফেরত দিতে অক্ষম হন, সেক্ষেত্রে ভাড়াটিয়াকে সুদ দিতে বাধ্য থাকবেন। নয়া আইনে ২ মাসের বাড়ি ভাড়ার টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে জমা করতে হবে ভাড়াটিয়াকে। কমার্শিয়াল কারণে ভাড়া হলে ৬ মাসের টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট দিতে হবে। তবে এই মডেল টেনান্সি অ্যাক্ট বর্তমানে চালু ভাড়ার ক্ষেত্রে চালু হবে না। এই আইনের ফলে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া মধ্যেও বিবাদ দূর হবে বলে আশা করছে কেন্দ্র।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
৬ই জুন ২০২১