তেলেঙ্গানার কাকাতিয়া রুদ্রেশ্বর মন্দির। যা কিনা রামাপ্পা মন্দির নামেও পরিচিত। রবিবার ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে ১৭টি দেশের সমর্থনের পর ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের সম্মান পেল ত্রয়োদশ শতাব্দীর এই মন্দিরটি। ইতিমধ্যে এজন্য টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডিও। ২০১৪ সালে এই মন্দিরটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা দিতে আবেদন জানিয়েছিল ভারত। সেই আবেদন নিয়েই এদিন ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির অনলাইন বৈঠকে বসেছিল। নরওয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও রাশিয়া-সহ ১৭টি দেশ ভারতকে সমর্থন জানায়। তারপরই মন্দিরকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনেস্কো। হায়দরাবাদ থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে তেলেঙ্গানার মুলুগু জেলার পালামপেট গ্রামে অবস্থিত এই রামাপ্পা মন্দিরটি তৈরি হয়েছে ভগবান শিব, ভগবান বিষ্ণু, এবং সূর্যদেবকে উৎসর্গ করে তৈরি। ৬ ফুট উঁচু মঞ্চের উপর মূলত তৈরি হয়েছে মন্দিরটি। তবে হাজারটি স্তম্ভ যুক্ত মন্দিরটির প্রধান বিশেষত্ব হল এটির দেওয়াল, ছাদ এবং স্তম্ভগুলি প্রাচীন কারুকার্যে ভরা। যা এর ঐতিহ্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এছাড়া মন্দিরটি তৈরি করতে এমন ইট ব্যবহার করা হয়েছে, যেগুলি কিনা কখনও জলে ডোবে না। পূরাণ ঘাঁটলে জানা যাবে, মন্দিরটি তৈরি হয়েছে ১২১৩ খ্রিষ্টাব্দে। কাকতিয়া রাজবংশের রাজা কাকতি গণপতি দেবার তত্ত্বাবধানে তাঁর প্রধান সেনাপতি রুদ্র সামানি মন্দিরটি তৈরি করান। সময় লাগে ৪০ বছর।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
২৫শে জুলাই ২০২১