রাজ্যের সবক'টি জেলায় পাওয়া গেল করোনার ডেল্টা প্লাসের সন্ধান। কিছুদিন আগেই রাজ্যের এপ্রিল এবং মে মাসের করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য বহিঃরাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার পর ৯০ শতাংশের মধ্যেই পাওয়া যায় ডেল্টা প্লাসের সন্ধান। যা উদ্বেগের কারণ বলে জানায় স্বাস্থ্য দপ্তর।
শুক্রবার সচিবালয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন দপ্তরের আধিকারিকরা। তাদের বক্তব্য,গত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের নমুনা বহিঃরাজ্যে পাঠানোর পর করোনার তিনটি বৈশিষ্ট্যের সন্ধানই পাওয়া গেছে রাজ্যে। যা অবশ্যই উদ্বেগের বলে মন্তব্য করেন তারা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ডেল্টা প্লাস সংক্রমণ ৮০ শতাংশই হয়েছে পশ্চিম জেলায়। পশ্চিম জেলায় ডেল্টা প্লাস সংক্রমিত ১১৫ জন, গোমতী জেলায় ৫ জন, সিপাহীজলা জেলায় ৮ জন, দক্ষিণ জেলায় ২ জন, ধলাই জেলায় ১ জন, খোয়াই জেলায় ১ জন, উত্তর জেলায় ২ জন এবং ঊনকোটি জেলায় ৪ জন। অপরদিকে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ১০ টি এবং ৩ টি ইউ কে ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।সাংবাদিক সম্মেলনে এ জি এম সি মাইক্রোবায়োলজির এইচ ও ডি তপন মজুমদার বলেন, ডেল্টা প্লাস সংক্রমণ নিয়ে যদি মানুষ সচেতন না হয় তাহলে আগামী দিনে পরিস্থিতি সামালাতে হিমশিম খেতে হবে। কারণ ভ্যাকসিন ডেল্টা প্লাসের সাথে প্রতিরোধ ক্ষমতা কখনো কখনো গড়ে তুলতে পারে না। ডেল্টা প্লাস ফুসফুসের মধ্যে আক্রমণ করার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে বলে জানান তিনি। বহিঃরাজ্য থেকে যে বিশেষজ্ঞ টিম রাজ্যে এসেছিল তারা জানিয়েছেন সচেতনতা বাড়ির বাইরে শুধু নয়। সচেতনতা বাড়ির ভেতরেও থাকতে হবে। ডেল্টা প্লাসের মূল কারণ হলো মানুষের মধ্যে অসচেতনতা। সুতরাং সকলে সচেতন থাকাই একমাত্র পথ বলে জানালেন তিনি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডা: দেবাশীষ দেববর্মা,ডা: দীপ কুমার দেববর্মা এবং আধিকারিক রাধা দেববর্মা।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৯ই জুলাই ২০২১