বর্ষাকাল চলছে। এমন সময়ে স্ন্যাক্সে এককাপ চায়ের সঙ্গে দু-একটি শিঙাড়া দারুণ ব্যাপার হতে পারে। সব থেকে মজা লাগতে পারে এটা জেনে যে, শিক্ষক দিবসের পাশাপাশি এই ৫ সেপ্টেম্বর শিঙাড়া দিবসও! বাঙালির শিঙাড়া-চর্চার লম্বা ইতিহাস আছে। সাধারণ শিঙাড়া, ফুলকপির শিঙাড়া, মাংসের শিঙাড়া-নানা অবতারে শিঙাড়ার সাধনা করে বাঙালি। মনে করা হয়, মোটামুটি দশম শতকে মধ্যপ্রাচ্যে শিঙাড়া নামক খাদ্যটির উদ্ভব। আর সেই জায়গার ব্যবসায়ীদের হাত ধরে ভারতে আসতে-আসতে তার সময় লাগে আরও চারশো বছর। তেরো বা চোদ্দো শতক নাগাদ এটি ভারতে ঢুকে পড়ে। ঢুকে পড়েই ভারতজয়। এখন অবশ্য শিঙাড়া বাড়ির চৌহদ্দিতে আবদ্ধ নেই। এখন চোখ চাইলেই শিঙাড়ার দোকান। বাংলা, বিহার, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশে শিঙাড়ার বিপুল জনপ্রিয়তা। ময়দার ত্রিকোণাকৃতি আস্তরণের ভিতরে নানা রকম পুর ভরে তেলে ভেজে শিঙাড়া তৈরি হয়। সেদ্ধআলু মাখা, পিয়াঁজ, মটর ইত্যাদির পুর খুব জনপ্রিয়। অনেক জায়গাতেই সামান্য তেঁতুল, বা ধনেপাতার চাটনি বা অন্য ধরনের কোনও আচার দিয়ে এটা খাওয়ার রীতি।
আরশিকথা পাঁচমিশেলি
৫ই সেপ্টেম্বর ২০২১