২০২১ সালে হবার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে হয়নি। চলতি মাসের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। আগরতলা টাউন হলে এই সম্মেলন হবে। প্রতি তিন বছর অন্তর এই সম্মেলন হয়। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবারের রাজ্য সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নবগঠিত কমিটিতে যারা আসবেন তাদের উপরই মূলত ন্যাস্ত থাকবে আগামী বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য সম্পাদক হিসেবে গৌতম দাসের মৃত্যুর পর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জিতেন্দ্র চৌধুরীকে। যতদূর জানা গেছে রাজ্য সম্পাদক হিসেবে জিতেন্দ্র চৌধুরীই থাকবেন। তবে নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বাদ যেতে পারেন প্রবীণদের অনেকেই। দায়িত্বে আনা হতে পারে যুবাদের। সময়ের টানে একদিন প্রবীণদের জায়গা ছাড়তেই হবে। সুযোগ দিতে হবে যুবাদের। সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব এবার সে পথেই হাঁটতে চলেছে। আগামী বছর রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দলকে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরতে গেলে কি কি করতে হবে সেই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাছাই করা নেতৃত্বদের রাজ্য কমিটিতে এবং সম্পাদকমন্ডলীতে জায়গা দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ২৩ তম রাজ্য সম্মেলনকে সামনে রেখে শহর আগরতলায় ব্যাপক পরিমাণ ফ্ল্যাগ, ফ্লাক্স ফেস্টুন লাগানো হচ্ছে। দলীয়কর্মীরা মূলত এই কাজ করছে। বৃহস্পতিবার দেখা যায় পূর্ব আগরতলা অঞ্চল কমিটির কর্মীরা প্রচার কাজে নেমে পড়েছে। তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন অমল চক্রবর্তী। তিনি জানান, ২০১৮ সালে শেষবার দলের রাজ্য সম্মেলন হয়েছিল। ২০২১ সালে হওয়ার কথা থাকলেও কোভিডের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গোটা শহরকেই দলীয় প্রচার সজ্জায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২২