কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা। কেন্দ্রীয় সরকারের সঠিক পরিকল্পনায় করোনা অতিমারীর সময়েও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে কৃষকদের আয়। বৃহস্পতিবার বিশালগড় মহকুমার মধুপুরে নবনির্মিত কৃষি জ্ঞানার্জন কেন্দ্রের উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ছন্দা দেববর্মা, জিলা পরিষদের কৃষি স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা প্রমুখ। উল্লেখ্য, কৃষি জ্ঞানার্জন কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৩ লক্ষ টাকা।অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, কৃষকদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করাই রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। রাজ্যের ১৮টি ব্লকে কৃষি মহকুমা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অতীতে রাজ্যে কৃষকদের মাসিক আয় ছিলো প্রায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা। ২০২১ সালে কৃষকদের মাসিক আয় বেড়ে হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ১০০ টাকা। তিনি বলেন, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ২৮টি কৃষক বন্ধু কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। করোনা অতিমারীর সময়ে রাজ্যে কৃষক সম্মাননিধি প্রকল্পে কৃষকদের প্রায় ৩৬১ কোটি টাকা সহায়তা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যে কৃষি পরিকাঠামো গড়ে তুলতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিলা পরিষদের সভাধিপতি কাকলি দাস দত্ত, বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ছন্দা দেববর্মা, কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ফণীভূষণ জমাতিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বিশালগড় মহকুমার ৬ জন শ্রেষ্ঠ ধান ও সব্জি চাষীকে সম্মানিত করেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২২