রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যই আমাদের একসূত্রে বেঁধে রেখেছে। সংস্কৃতি বাঁচলেই দেশ বাঁচবে, সমাজ বাঁচবে। সংস্কৃতি ছাড়া কোনও সভ্য সমাজ কল্পনা করা যায় না। বৃহস্পতিবার মোহনপুর পুরপরিষদ অফিস প্রাঙ্গণে মোহনপুর সাংস্কৃতিক শাখার উদ্যোগে সুরসম্রাজ্ঞী প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরের শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের সূচনা করে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। তিনি বলেন, গান ও ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। সংগীত আমাদের জীবনে এক বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকে। সংগীতের মাধ্যমে অনেক দুঃখও ভোলানো যায়।
তিনি বলেন, লতা মঙ্গেশকর ছিলেন এক ব্যতিক্রমী চরিত্র। সারা দেশের মানুষের হৃদয়ে তিনি অবস্থান করছেন। সারা বিশ্বের মানুষ তাঁকে বিভিন্ন নামে চেনেন। অনেকে বলেন নাইটিঙ্গেল অব ইন্ডিয়া, অনেকে বলেন কুইন অব মেলোডি, কেউ বলেন কোকিল কণ্ঠ, সুরসম্রাজ্ঞী প্রভৃতি। অনুষ্ঠানে লতা মঙ্গেশকরের জীবনের বিভিন্ন দিক দিয়ে আলোচনা করেন ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জয়লাল দাস, কৃষি তত্ত্বাবধায়ক ড. উত্তম সাহা, সাংবাদিক সুমন মহালানবিশ, আইনজীবী অরবিন্দ দেব, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক স্বপন ধর প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহনপুর সাংস্কৃতিক শাখার কনভেনার সঞ্জীব সাহা।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন অনিতা দেবনাথ, মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রীণা দেববর্মা প্রমুখ। অতিথিগণ প্রয়াত সংগীত শিল্পীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২২