Type Here to Get Search Results !

বই আমাদের জ্ঞান ও শক্তি প্রদান করে : তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা,আরশিকথাঃ


মানুষের জ্ঞান যত বাড়বে নেতিবাচক মনোভাবগুলি দূর হবে। জ্ঞান পিপাসুদের মধ্যে জ্ঞানের সুগন্ধ ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আসবে বইমেলার প্রকৃত সফলতা। এইক্ষেত্রে বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গির চাইতে জ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজনীয়। হাপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত  ৪০তম আগরতলা বইমেলার তৃতীয়দিনে রবিবার লতা মঙ্গেশকর মঞ্চে নিহারীকা প্রকাশনীর বিভিন্ন বইয়ের মলাট উন্মোচন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বই প্রকাশের এই অনুষ্ঠানে প্রচ্ছদ শিল্পের জন্য বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী স্বপন নন্দী এবং ইংরেজি সাহিত্যের জন্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ গুপ্তকে সুকোমল বিশ্বাস স্মারক সম্মান প্রদান করেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

উল্লেখ্য, এদিন নিহারীকা প্রকাশনীর পক্ষ থেকে ৭১টি বইয়ের মলাট উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরও বলেন, মানুষ তার দর্শন ও আদর্শ নিয়ে বাঁচে। বইয়ের মাধ্যমেই মানুষের এই দর্শন এবং আদর্শ প্রকাশিত হয়। বই আমাদের জ্ঞান ও শক্তি প্রদান করে। আজকের উন্মোচিত বইগুলি আগামীদিনে পাঠককুলের কাছে সমাদৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী শ্রীচৌধুরী। তিনি আরও বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। সময়ের দাবি মেনেই বইমেলার স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। বইমেলার তৃতীয় সন্ধ্যায় মানুষের উপচে পড়া ঢল এই সিদ্ধান্তকেই সঠিকতার শিলমোহর প্রদান করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন বইমেলার যে ঐতিহ্য ছিল এবং আছে আগামীদিনেও তা বজায় থাকবে। আগরতলা বইমেলা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বশ্রেষ্ঠ বইমেলায় পরিণত হবে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়ে জ্ঞান ও কর্মের মাধ্যমে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাই ৪০তম আগরতলা বইমেলা নতুন আঙ্গিকে এবং চিন্তাধারায় আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও এদিন বইমেলায় বিশ্বনাট্য দিবস বিষয়ক আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন সুভাষ দাশ, পার্থ প্রতীম আচার্য, পার্থ মজুমদার এবং দীপঙ্কর গুপ্ত। সঞ্চালনায় ছিলেন নন্দকুমার দেববর্মা। বইমেলার তৃতীয়দিনে লতা মঙ্গেশকর সাংস্কৃতিক মঞ্চে খোয়াই জেলার এবং স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। গতকাল অর্থাৎ বইমেলার দ্বিতীয়দিনে ৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৩৫ টাকার বই বিক্রি হয়।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ


ছবিঃ সংগৃহীত

২৭শে মার্চ ২০২২



 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.