সুদূর ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা নিয়ে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে দিল্লি। এরই মাঝে বহু ভারতীয় দাবি করছেন, তাঁদের সঙ্গী পোষ্যদের যদি ইউক্রেন থেকে আনতে না দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা যুদ্ধপরিস্থিতিতেও সেদেশ ছাড়বেন না। যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে পোষ্যকে একা ফেলে রেখে আসাবেন না বলে জানিয়ে কিয়েভে ভারতীয় দূতাবাসের দ্বারস্থ হন বহু ভারতীয়। বহুজনের আর্জি শুনে তাঁদের সঙ্গে তাঁদের পোষ্যকেও ভারতের মাটিতে আনা হয়। এরই মাঝে উঠে এল ইউক্রেন নিবাসী এক চিকিৎসকের কাহিনি। ইউক্রেনের প্রবাসী ভারতীয় চিকিৎসক ডক্টর গিরিকুমার পাতিল। অনেকেই তাঁকে 'জাগুয়ার কুমার' হিসাবে চিহ্নিত করেন। কারণ তাঁর পোষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে জাগুয়ার ও প্যান্থার। আর এঁদের নিয়েই ইউক্রেনের বুকে ছোট্ট সংসার এই ভারতীয় চিকিৎসকের। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার মধ্যে তিনি আটকে পড়েছেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে। তিনি ইউক্রেনের দোনবাসের বাসিন্দা। আশপাশের বহু এলাকায় যখন পর পর রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ছে, তখনও নিজের পোষ্যকে আঁকড়ে একচুলও এগোতে রাজি নন এই ভারতীয়। গিরিকুমার বলছেন, 'আমি দূতাবাসে (ভারতীয়) ফোন করেছিলাম। তবে সঠিক জবাব পাইনি। আমার এলাকার চারিদিক রাশিয়ানরা ঘিরে ফেলেছে। আর আমি চেষ্টা করে চলেছি..। আমি ওদের (পোষ্যদের) নিজের সন্তানের মতো দেখি।' অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার বাসিন্দা গিরিকুমার। ২০০৭ সাল থেকে মেডিসিন পড়ার সময় থেকে তিনি ইউক্রেনের বাসিন্দা। ৪০ বছরের এই চিকিৎসকের রয়েছে একটি ইউটিউব চ্যানেল। যেখানে তিনি নিজেকে জাগুয়ার কুমার বলে বর্ণনা করেছেন। জানা যায়, ২০ মাস আগে কিয়েভের চিড়িয়াখানা থেকে ওই দুই পোষ্যকে তুলে আনেন গিরিকুমার। জাগুয়ারের বয়স ২০ মাস ও প্যান্থারটি ৬ মাস বয়সী। উল্লেখ্য, ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে অপারেশন গঙ্গা। আর সেই অপারেশন গঙ্গারই অংশ হতে চান গিরি কুমার পাতিল। তবে কোনও মূল্যেই নিজের পোষ্যদের ছেড়ে তিনি ভারতের মাটিতে পা রাখতে চান না।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
৭ই মার্চ ২০২২