বৃহস্পতিবার হৃষিকেশ সাহার ৩০তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করলো লাল বাহাদুর ব্যয়ামাগার। এই বিশেষ দিনে নেওয়া হয়েছে এক অনন্য উদ্যোগ। যে মানুষটি তাঁর জীবিতকালে ছাত্র-ছাত্রীদের বই পড়ার জন্য উৎসাহিত করতেন, তিনি মনে করতেন বই পাঠের মাধ্যমেই সত্যিকারের জ্ঞান ও শিক্ষা উন্মেষ সম্ভব, তাঁরই ৩০তম মৃত্যু বার্ষিকীতে উদ্বোধন করা হল 'হৃষিকেশ সাহা স্মৃতি গ্রন্থাগার'-এর। একই সঙ্গে শাড়ি ও মিষ্টি বিতরণ করে তাঁর স্মৃতিতে উৎসর্গ করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ 'হৃষিকেশ সাহা স্মৃতি গ্রন্থাগার'টির উদ্বোধন করে বলেন, হৃষিকেশ সাহা একজন সংস্কৃতি প্রেমী ও শিক্ষাব্রতী ছিলেন। আমরা আশা করব এই গ্রন্থাগার রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা করে দেবে। রাজ্য সরকারও এই প্রয়াসের পাশে অবশ্যই থাকবে। এ উদ্যোগের প্রশংসা করে শ্রী নাথ বলেন, রাজ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এজাতীয় লাইব্রেরী এই প্রথম তৈরি হয়েছে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আগরতলার মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র দীপক মজুমদারও এই প্রয়াসের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, আগরতলার মুকুটে এই গ্রন্থাগার একটি নতুন পালক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুবল কুমার দে, বিশিষ্ট আইনজীবি সঞ্জয় পাল এবং ত্রিপুরা টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা। সুবল দে হৃষিকেশ সাহার পরিবার ও লাল বাহাদুর সঙ্গে কর্মকান্ডকে প্রশংসা করে বলেন, 'এই কাজ অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমার বিশ্বাস এলাকার তথা আগরতলার ছাত্র-ছাত্রীরা এই গ্রন্থাগার থেকে বিশেষ সাহায্য পাবে। এদিকে হৃষিকেশ সাহার সুযোগ্য সন্তান রূপক সাহা বলেন,আমরা হৃষিকেশ সাহা মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল ডিসপেন্সারীকে একটা মডেল প্রজেক্ট হিসাবে তৈরী করতে চাই। ৩০ বছর আগে পিছিয়ে পরা মানুষদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই দাতব্য চিকিৎসালয়টি তৈরী করা হয়। তিনি এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মী ও শুভাকাষ্ঠীদের ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, গত ৩০ বছর ধরে লাল বাহাদুর ব্যয়ামাগারেই অসহায় দুঃস্থদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে চলেছে ‘হৃষিকেশ সাহা মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল ডিসপেন্সারী"।এদিকে লাল বাহাদুর ব্যয়ামাগারের সভাপতি প্রণব সরকার বলেন, আমাদের প্রিয় হৃষিকেশ দা, সারা জীবন পিছিয়ে পরা মানুষদের উন্নতির জন্য কাজ করে গেছেন। আর তাই আজকের এই বিশেষ দিনে আমরা তাঁর নামাঙ্কিত গ্রন্থাগারটি উদ্বোধন করছি।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
৩রা মার্চ ২০২২