আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়।
এরপর আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আগরতলার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. মোস্তফা কামাল, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ও গবেষক আশিষ কুমার বৈদ্য, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ড. দেবব্রত দেবরায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব স্বপন ভট্টাচার্য এবং বাংলাদেশ থেকে আগত একুশে পদক প্রাপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন চেয়ার ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া প্রমুখ।সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর ধাট গঠনে অসামান্য অবদানের জন্য যে নারীর ত্যাগ, অবদান ও অনুপ্রেরণায় ছিলেন উদ্দীপ্ত, উজ্জীবিত ও লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় সংকল্প, তিনি হলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল অনুপ্রেরণার উৎস। বঙ্গমাতা সারা ছায়ার মতো অবস্থান করেছেন, অন্তরালে থেকে বঙ্গবন্ধুর সকল কর্মকান্ডে সমর্থন ও সাহস যুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে সহচর হিসাবে বিদ্যমান থেকে বিভিন্ন বিষয়ের আত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান ও সহযোগিতা করেছেন। তিনি আরোও উল্লেখ করেন, বঙ্গমাতা ছিলেন একজন আদর্শ নারী যিনি পরিবারে স্ত্রী ও মাতার ভূমিকার কোমলতা আর দেশের প্রয়োজনে যान সিদ্ধান্ত গ্রহণে কঠোরতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ছিলেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব একদিকে যেমন শক্ত হাতে সংসার ও সন্তানদের সামলিয়েছিলেন, তেমনি নিজের ব্যক্তিগত চাহিদাকে অতিক্রম করে স্বামীর সঙ্ঘামের সহযোদ্ধা হিসাবে নীরবে ছায়াসঙ্গীর যুগিয়েছেন সাহস ও উদ্দীপনা। তিনি ছিলেন মুক্ত চিন্তার অধিকারী, বিশ্বাসে অটল ও দৃঢ় প্রত্যয়ী একজন নারী। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও আদর্শের সঙ্গে সবসময় ছিলেন একাত্ম। মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণাদাত্রী এই মহীয়সী নারী বঙ্গমাতার আদর্শ দেশের নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে নারীদের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনে অভ্যস্থ আর প্রচারবিমুখ এই মহিয়সী নারীর জীবনব্যাপী ত্যাগ ও অবদান থেকে গেছে লোক চক্ষুর আড়ালে, আজকের এই দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধার স্মরণ করব আত্মত্যাগে ভরপুর তাঁর জীবন ও কর্মকে। আজ তিনি নেই, কিন্তু তাঁর জীবন ও কর্মের মাঝে যে আদর্শ তিনি রেখে গেছেন তা নতুন প্রজন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া আমাদের কর্তব্য। তাঁর আদর্শ আর মননে গড়ে উঠুক দেশের নতুন প্রজন্মের নারীরা, আজকের দিনে এই আমাদের প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন অত্র মিশনের প্রথম সচিব মোঃ রেজাউল হক চৌধুরী।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
৮ই আগস্ট, ২০২২




.jpeg)
.jpeg)

.jpeg)

.jpeg)