সময় তোমাকে বলেছিলাম একটু দাঁড়াও,
তোমার এতো তাড়া কিসের?
ছুটচ্ছো তুমি আপন গতিতে।
শৈশবের নীল আকাশের ঘুড়ির সাথে ।
মাঠে ঘাটে কানামাছি ভোঁ ভোঁ ।
কুঁ ঝিক ঝিক রেলের গাড়ী সারি সারি দিচ্ছে পাড়ি।
দীঘির ধারে পুকুর পাড়ে পদ্ম শালুক তোলার ছলে,
দুপুর হলে যাচ্ছি সেথায়, মা যখন ঘুমিয়ে পড়ে।
আম বাগানে গ্ৰীষ্ম কালে, পেয়ারা গাছে কাঠবেড়ালী পিছু পিছু দৌড়ে ছুটি।
পুতুল বিয়ের মন্ডা মিঠাই নিজের হাতে তৈরী করি।
বাঁশ বাগানে চড়ুইভাতি , ঘর থেকে আনাজ বাটি।
বাবার শার্ট, মায়ের শাড়ি সুযোগ পেলেই দিচ্ছি গায়ে,
হচ্ছি বড় , বাবার জুতো পায়ে দিয়ে।
সময় তোমায় বলছি একটু দাঁড়াও ,
ছুটচ্ছো তুমি আপন গতিতে।
যৌবনেই যত মজা , আমরা তখন সবাই রাজা।
মানবো না কোনো শাষন, দেখবো এবার জগতটাকে।
যতই আসুক বাঁধা নিষেধ সেইখানেতে সবার আগে।
চিত্রহারের চিত্র দেখে মনে মনে সবাই নায়ক
নায়িকারা সব আশেপাশে , কল্পনাতে ওরাই তখন,
ছাদনাতলায় বসব কখন ?
সংসারে ঢূকে দেখি এটা তো বড়ই সাজা।
নিয়মের ঘেড়া টোপে ছুটচ্ছে জীবন নেই তো মজা।
ব্যঙ্কব্যালেন্সে জর্জরিত কখনো লোন,
কখনো শোধ ইএমআই ,
আর ফিক্স ডিপোজিট নাজেহালের
গোলক ধাঁধায় ছুটচ্ছে জীবন ,খাচ্ছি হাবি।
তবু ভাবি গুছিয়ে নেবো , অবসরেতে করব মজা।
শরীর বলে একটু দাঁড়াও দেহতে বল থাকা চাই।
বাড়ি গাড়ি থাকলো পড়ে আমি তখন হুইল চেয়ারে।
- স্নিগ্ধা ভট্টাচার্য
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
৩রা সেপ্টেম্বর,২০২২