আবাসনের পেছন দিকে অনেকটা জায়গা জুড়ে বাচ্চাদের খেলার মাঠ, সেখানে সামনের বস্তির ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করে।
বাবুইয়ের সেখানে যাওয়া নিষেধ, কারণ ওরা বস্তির বাসিন্দা ।ওদের বাবা-মা লোকের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে। বাবুই অত শত বোঝেনা। তাই তার প্রশ্ন- কেন তোমরা আমাকে ওদের সাথে খেলতে দাও না?
আয়ার উত্তরে বাবুই একদম সন্তুষ্ট হয় না । উদাস দৃষ্টিতে কাঁচের জানলার সামনে একা দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের খেলা দেখে আর ভাবে ,ওরা কত আনন্দে আছে ,ওদের মা-বাবা ওদের আটকায় না।
আর একদিন বাদেই স্বাধীনতা দিবস। স্কুলে বাবুই ম্যামদের কাছে " ফ্রিডম" কথাটির মানে বুঝে এসেছিল। সে মনে মনে ভাবে আমার তো কোন ফ্রিডম নেই, সব সময় বড়দের কথা মত চলতে হয়।
এবার স্বাধীনতা দিবসের দিন বাবুইয়ের একটাই বায়না- মা-বাবা ও আয়ার কাছে,
আজ বিকেলে এক ঘন্টার জন্য বস্তির বাচ্চাদের সাথে তাকে খেলতে দিতে হবে। সে আবদার অবশ্য মা-বাবা মেনে নেয়, বিকেলে খেলতে গিয়ে বাবুইয়ের যে কি আনন্দ সেটা দেখে আয়ার চোখেও জল এসে গিয়েছিল, তার মনে হয়েছিল খোলা আকাশের নিচে শিশুর মুক্তির আনন্দই বোধহয় স্বাধীনতার আরেক নাম। মুক্তির অনাবিল আনন্দ শিশুটির চোখে মুখে ।
এ যেন এক স্বর্গীয় সুখ।
- মনীষা গুপ্ত পাল, আগরতলা
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২২