রাষ্ট্রীয় পোষণ মাসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশু, কিশোর কিশোরীদের পুষ্টি প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা। এই কর্মসূচিতে গর্ভবর্তী ও প্রসূতি মায়েদেরও পুষ্টি প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রতিবছর ১ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর দেশে রাষ্ট্রীয় পোষণ মাস কর্মসূচি রূপায়িত হয়। আমাদের রাজ্যেও এই কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। বুধবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নং প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যভিত্তিক রাষ্ট্রীয় পোষণ মাস অভিযানের রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্ৰী শ্ৰীমতি চাকমা বলেন, রাষ্ট্রীয় পোষণ মাস অভিযানে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশু, কিশোর কিশোরী, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর আহার নিশ্চিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ থেকে অপুষ্টি দূর করার জন্য এই অভিযানের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, শিশুরা হচ্ছে আগামীদিনে দেশের ভবিষ্যৎ। গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলারা সুস্থ থাকলেই সুস্থ ও সবল শিশু ভূমিষ্ঠ হয়। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযান চালু করেছে। তিনি বলেন, পোষণ মাসে পোষণ অভিযানের মধ্যেই যেন আমাদের কর্মসূচি শেষ হয়ে না যায়। এই অভিযান রূপায়ণে আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে রাজ্যের প্রান্তিক এলাকার সুবিধাভোগীগণ যেন পোষণ অভিযানের সুফল থেকে বঞ্চিত না হন।অনুষ্ঠানে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব বলেন, সারা দেশের সাথে আমাদের রাজ্যেও উৎসবের মেজাজে রাষ্ট্রীয় পোষণ মাস কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। তিনি এই অভিযান কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, সমাজ থেকে অপুষ্টি দূর করতে রাষ্ট্রীয় পোষণ অভিযান একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। তিনি এই কর্মসূচির সঠিক বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে সমাজসেবী পাপিয়া দত্ত বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা ডা. সিদ্ধার্থ শিব জসওয়াল। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের উপঅধিকর্তা এল রাঞ্চল। রাজ্যভিত্তিক রাষ্ট্রীয় পোষণ মাস 2022 অভিযানের উদ্বোধন উপলক্ষে আজ সকালে আগরতলায় এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। উমাকান্ত একাডেমি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে এই বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণে এসে সমাপ্ত হয়। সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা ডা. সিদ্ধার্থ শিব জসওয়াল, দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিকগণ ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীগণ র্যালিতে অংশ নেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৭ই সেপ্টেম্বর ২০২২